জোড়া খুন বজবজে। দু’জনকেই গলার নলি কেটে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ। জমির দালালিকে ঘিরে ব্যক্তিগত শত্রুতা তৈরি হয় বলে অভিযোগ নিহতদের পরিবারের। পলাতক মূল অভিযুক্ত তৃণমূলের বুথ সভাপতি বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় মোট পাঁচ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
বজবজের ৭ নং ওয়ার্ডের খড়িবেড়িয়া এলাকার পণ্ডিতের মাঠের কাছে খুনের ঘটনা ঘটেছে। ১১ অগাস্ট, শুক্রবার সেখানে দুই বন্ধুকে কুপিয়ে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত এলাকায় তৃণমূলের বুথ সভাপতি অসীম বৈদ্য। তাঁর দলবলও এই খুনে যুক্ত বলে অভিযোগ নিহতেদের পরিবারের। পুলিশ এবং পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত দুই ব্যক্তির নাম মহাদেব পুরকায়স্থ ওরফে পুঁটি এবং গণেশ নস্কর। রক্তাক্ত অবস্থায় দু’জনকে উদ্ধার করে খড়িবেড়িয়া হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। কিন্তু সেখানে তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
নিহতদের পরিবারের দাবি, অসীমের সঙ্গে কোনও এক সময় জমির দালালির কাজ করতেন মহাদেব। সেই সময় থেকেই দু’জনের মধ্যে ব্যক্তিগত শত্রুতা তৈরি হয়। দিন কয়েক আগেও অসীম গিয়েছিলেন মহাদেবের বাড়িতে। তবে কী নিয়ে তাঁদের মধ্যে কথা হয়েছিল, তা তার পরিবারের লোকজন জানেন না। মহাদেবের পরিবারের দাবি, অসীম খুনের হুমকি দিচ্ছিলেন বলে বাড়িতে জানিয়েছিলেন তিনি।
দালালি ছেড়ে সম্প্রতি মাছ-মাংস বিক্রি করতেন মহাদেব। শুক্রবার রাত পৌনে ১১টা নাগাদ মহাদেব এবং উলুবেড়িয়ার জুট মিলের কর্মী, তাঁর বন্ধু গণেশ বাড়ি ফিরছিলেন। অভিযোগ সেই সময় তাঁদের দু’জনকে ঘিরে ধরে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। অভিযোগের তির, তৃণমূলের বুথ সভাপতি অসীম বৈদ্য ও তার লোকজনের দিকে। পরিবারের অভিযোগ, ধারাল অস্ত্রের কোপ মারা হয়, গলার নলি কেটে দেওয়া হয় মহাদেব এবং গণেশের।
পুলিশের সন্দেহ, সম্ভবত মহাদেবকে মারতে দেখে ফেলাতেই গণেশকেও বলি হতে হয়। বর্তমানে বজবজ থানার পুলিশ অসীমের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে।