বৃহস্পতিবার জামিন পেল গোধরায় (Godhra train carnage) সাবরমতী এক্সপ্রেসে আগুন লাগানোর ঘটনার এক যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি পিএস নরসিমহার বেঞ্চ শর্তসাপেক্ষে তার জামিনের নির্দেশ দিয়েছে নিম্ন আদালতকে।
উল্লেখ্য, এই মাসের শুরুতেই গোধরা কাণ্ডের অভিযুক্তদের জামিনের তীব্র বিরোধিতা করেছিল গুজরাl সরকার। তারা জানিয়েছিল, গোধরার মতো ঘৃণ্য অপরাধের সঙ্গে যুক্তদের কোনওভাবেই ছাড় দেওয়া যায় না। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল ওই যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত। আবেদনকারীর আইনজীবী জানান, ওই ব্যক্তি গত ১৭ বছর ধরে কারাগারে বন্দি। কিন্তু তার বিরুদ্ধে একমাত্র অভিযোগ ট্রেনে পাথর ছোঁড়া। এই প্রসঙ্গে বেঞ্চ একটি ভিন্ন ঘটনার দিকেও নজর দেয়। এর আগে গোধরা কাণ্ডের আরেক অপরাধী স্ত্রীর অসুস্থতার কারণে জামিন পেয়েছিল। এরপরই প্রধান বিচারপতি মন্তব্য করেন, ‘১৭ বছর ধরে ওই ব্যক্তি বন্দি। আমার মনে হয় ওকে জামিন দেওয়া যেতে পারে।’
তার জামিনের বিরোধিতা করেছিলেন সরকারি আইনজীবী তুষার মেহতা। তিনি বলেন, জামিনের আবেদনকারী ব্যক্তি যে কেবল ট্রেনের ভিতরে থাকা মানুষদের বেরতে দেয়নি তাই নয়, সেই সঙ্গে উত্তেজিত জনতাকে উস্কানিও দিয়েছিল। সে ট্রেনে পাথর ছুঁড়ে যাত্রীদের জখমও করেছিল। মেহতার মতে, পাথর ছোঁড়া খুব বড় কোনও অপরাধ না হলে, উক্ত পরিস্থিতি ছিল একেবারেই ভিন্ন।
ঘটনার তদন্তে সুপ্রিম কোর্ট বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করেছিল। গুজরাত সরকারের তরফে গঠন করা হয় একাধিক কমিশনও। গোধরাকাণ্ডের তদন্তে গুজরাত সরকারের গঠিত নানাবতী-মেহতা কমিশন মত দিয়েছিল, ট্রেনে আগুন নিছক দুর্ঘটনা নয়, এর পিছনে ষড়যন্ত্র ছিল।