নিজস্ব প্রতিবেদন, কলকাতা: হাত ও মুখ বাধা অবস্থায় বাড়ির শৌচাগার থেকে উদ্ধার হল ব্যবসায়ীর দেহ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বাগুইআটির অশ্বিনীনগরে।
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে মৃতের ২ নাতিকে।
জানা গিয়েছে, মৃতের নাম জগদীশ মল্লিক। পেশায় চালের ব্যবসায়ী তিনি। ছেলে কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন। দুই মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। শনিবার গভীর রাতে বয়স্ক ওই ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে শব্দ পান প্রতিবেশীরা। ছুটে গিয়ে দেখেন দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। খবর দেওয়া হয় বাগুইআটি থানায়। তাঁরা গিয়ে দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকে। এরপরই দেখা যায়, বাথরুমে হাত-মুখ বাঁধা অবস্থায় পড়ে রয়েছেন জগদীশ মল্লিক। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা বৃদ্ধকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, কালো কাপড়ে মুখ মোড়া ছিল। বৃদ্ধের দেহ ছিল শৌচাগারের ভিতরে। পা ছিল বাইরে। গোটা বাড়ি লন্ডভন্ড। দরজা ভিতর দিক থেকে বন্ধ থাকায় মনে করা হচ্ছে আততায়ীরা খুনের পর পিছনের জানলা দিয়ে পালিয়েছে। কিন্তু কী কারণে খুন? টাকা পয়সা হাতাতেই কি এই খুন? নাকি নেপথ্যে রয়েছে অন্য কোনও কারণ, তা এখনও জানা যায়নি।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। মৃতের দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলেই স্পষ্ট হবে মৃত্যুর কারণ। এদিকে মৃত ব্যবসায়ীর ঘর থেকে জোগাড় করা হচ্ছে নমুনা। শনিবার রাতে কে বা বা কারা গিয়েছিলেন জগদীশ মল্লিকের বাড়িতে জানতে এলাকার সিসিটিভি ফুটেদ খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। তাঁর কারও সঙ্গে কোনও শত্রুতা ছিল কিনা, বা সম্পত্তি নিয়ে কোনও অশান্তি ছিল কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।