কলকাতা: পুজোর স্বার্থে অশান্তি ভুললেন সকলে। হাতে সময় মাত্র একটা মাস। সেটা বুঝেই পুরনো কমিটি বহাল রেখে পুজোর সিদ্ধান্ত বাগবাজার সর্বজনীনের।
শতাধিক পুরনো উত্তর কলকাতার এই পুজো। তাঁদের সাবেকি প্রতিমার টানে প্রতি বছর অসংখ্য দর্শক ছুটে আসেন। করোনার রক্তচক্ষু কাটিয়ে এই বছর যখন আবার পুজোর উত্তেজনা টের পাওয়া যাচ্ছে, তখনই কমিটির ভোটাভুটি নিয়ে অশান্তির জেরে পণ্ড হতে বসেছিল বাগবাজারের পুজো।
কয়েকবছর অডিট নেই। নতুন কমিটি গঠনের ভোটাভুটির দিনই ছিঁড়ে ফেলা হয়েছিল ব্যালট পেপার। অশান্তি মেটাতে ডাক পড়েছিল পুলিশেরও।পুজোর ভবিষ্যত্ নিয়ে যখন অনিশ্চয়তা, তখন সকলে মিলে খুঁজে নিলেন সমাধান সূত্র। নতুন কমিটি তৈরি করে যে আর পুজো করার মতো সময় নেই, তা বুঝতে পেরেছেন সকলেই। তাই পুরনো কমিটি বহাল রেখে পুজোর সিদ্ধান্ত বাগবাজার সর্বজনীনের।
আজই ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জ্ঞাপনের মিছিল শেষ হওয়ার পর বৈঠকে বসতে চলছেন পুজো কমিটির সদস্যরা।এবার আর বিবাদ নয়। গতবারের কমিটিকে পুজো করার দায়িত্ব দেওয়া হবে। খুঁটিপুজোর দিনক্ষণও স্থির হবে ওই বৈঠকে, জানান বাগবাজার সর্বজনীনের প্রাক্তন সম্পাদক গৌতম নিয়োগী। বুধবার গণেশ পুজোর দিনই তিনি বলেন, ‘কমিটি নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছিল ঠিকই। তবে সেই অসন্তোষের জেরে নিষ্ঠায় কোনও ছেদ পড়বে না।’
শতাব্দী প্রাচীন বাগবাজারের পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে নানা ইতিহাস। ১৯৩২ সালে সোসাইটি অ্যাক্টে নথিভুক্ত করা হয়েছিল বাগবাজারের পুজো। ১২ বছর পর গত রবিবার বাগবাজারের কমিটি গঠনের জন্য নির্বাচন হয়। সেই ভোটাভুটিকে কেন্দ্র করেই তুমুল অশান্তি তৈরি হয়। ছেঁড়া হয় ব্যালট পেপার।
এই ঘটনায় বেজায় ক্ষুব্ধ হন বাগবাজার সর্বজনীনের প্রাক্তন সম্পাদক গৌতম নিয়োগী। অশান্তির জেরে পুজোর ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। তবে গণেশ পুজোর দিনই কেটেছে জট।