চাপা পড়া লাশের দুর্গন্ধে ছেয়ে গিয়েছে রায়গড়ের ধ্বংসস্তূপের আশপাশ। অগত্যা ১৪৪ ধারা জারি করে এলাকায় চলছে উদ্ধারকাজ। ধ্বংসস্তূপের আশেপাশে যাতে আর কেউ যেতে না পারে তা নিশ্চিত করতেই প্রশাসনের তরফে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে বলে খবর।
রায়গড় জেলার ইরশালবাদী বুধবার ভোরে ধস নামে। পাহাড় ধসে গ্রামের একটা বড় অংশ নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। ৪৮টি বাড়ির মধ্যে ১৭টি বাড়ি ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে গিয়েছে। ওই সময় অনেকে ঘুমোচ্ছিলেন। সেই অবস্থানেই বাড়ি ধসে গিয়েছে। অনেক বাড়ি কাদামাটিতে বসেও গিয়েছে। উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। চলছে উদ্ধারকাজ কিন্তু প্রধান প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়িয়েছে বৃষ্টি। গ্রামটি পাহাড়ের মাঝে হওয়ায় বৃষ্টির কারণে সেখানে পৌঁছনোর আর কোনও রাস্তা না থাকায় থেমে থেমে উদ্ধারকাজ চালাতে হচ্ছে বলে খবর।
রায়গড়ের ধসে ইতমধ্যেই মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৭। এখনও ৮১ জনের খোঁজ পাওয়া যায়নি। ধ্বংসস্তূপে আরও দেহ আটকে আছে বলে আশঙ্কা। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। মৃতদের মধ্যে ১২ জন মহিলা, ১০ জন পুরুষ ও চার শিশু রয়েছে। এক জনের শুধু দেহাবশেষ উদ্ধার হয়েছে বলে তাঁর বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। এক পরিবারের ন’জন সদস্যই প্রাণ হারিয়েছেন এই দুর্ঘটনায়। গ্রামটির জনসংখ্যা ২২৯, তাঁদের মধ্যে নিরাপদে রয়েছেন মাত্র ১১১ জন।
মনে করা হচ্ছে ধসের নীচে চাপা পড়ে রয়েছে বহু দেহ। আর তা থেকেই বেরোচ্ছে দুর্গন্ধ। তাই ১৪৪ ধারা জারি করে চালানো হচ্ছে উদ্ধারকাজ।