দীপাবলির আগেই ঝলমলিয়ে উঠল অযোধ্যা। ১৭ লক্ষ প্রদীপের আলোয় উদ্ভাসিত সরযূ তীরে উপস্থিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রবিবারই প্রধানমন্ত্রী অযোধ্যার রামমন্দিরে রামলালা দর্শন করেন। দেন পুজোও।
রবিবারই অযোধ্যায় পৌঁছন মোদি। সেখানে তাঁকে স্বাগত জানাতে হাজির ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ। বিকেল সাড়ে ৪টেয় তিনি যান মন্দির নগরী অযোধ্যায়। সেখানে রামমন্দির প্রাঙ্গণে দর্শন সেরে পুজো দেন। এর পর অতিথি নিবাসে কিছু ক্ষণ সময় কাটানোর পর সরযূ তীরে পৌঁছন তিনি। সেখানে আরতি দেখার পর আনুষ্ঠানিক ভাবে দীপোৎসবের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে ১৭ লক্ষ প্রদীপ দিয়ে সাজানো হয়েছে এলাকা। এদিন, সরযু নদীর তীরে বিশেষ আরতিতে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী। তারপরই শুরু হয় দীপোৎসব উদযাপন। রাম কি পৈড়িতে ২২,০০০ স্বেচ্ছাসেবক ১৫ লক্ষেরও বেশি প্রদীপ জ্বালিয়ে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস-এ অযোধ্যার নাম তুলেছেন। শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলিতেও প্রদীপ জ্বালানো হয়েছে।
এদিন, প্রধানমন্ত্রীকে অযোধ্যায় স্বাগত জানান রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেল এবং মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। পরে ভাষণ দেওয়ার সময়, উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্দেশনা ও অনুপ্রেরণাতেই ছয় বছর আগে অযোধ্যার দীপোৎসব শুরু হয়েছিল। এই উৎসবটি একটি জাতীয় উদযাপনে পরিণত হয়েছে। এটি আজ সাফল্যের নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে।’ ভগবান রামই হলেন ‘সবকা সাথ-সবকা বিকাশ’-এর অনুপ্রেরণা এবং ‘সবকা বিশ্বাস-সবকা প্রয়াস’-এর ভিত্তি। রবিবার, উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় দীপোৎসবের সূচনা করে, জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেওয়ার সময় এমনটাই জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দীপোৎসবে যোদ দেওয়ার আগে মোদি এর আগে তিনি অযোধ্যার রামলালার অস্থায়ী মন্দিরে পুজো দেন। ভগবান রামের প্রতীকী ‘রাজ্যভিষেক’ও করেন।
দীপাবলির প্রাক্কালে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজ, দীপোৎসবের দিনে ভগবান রামের থেকে শিক্ষা নেওয়ার জন্য আমাদের ফের সংকল্প নিতে হবে। রামকে ‘মর্যাদা পুরুষোত্তম’ বলা হয়। মর্যাদা সম্মান করতে শেখায় এবং সম্মান দিতেও শেখায়। এবার দীপাবলি এমন এক সময়ে এসেছে, যখন আমরা স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্ণ করেছি। ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ উদযাপনের সময়ে, ভগবান রামের মতো সংকল্প গ্রহণ দেশকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। ভগবান রামই হলেন সবকা সাথ সবকা বিকাশের অনুপ্রেরণা। তিনি সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে এগিয়েছিলেন, কাউকে পিছনে ফেলে রাখেননি। ভগবান শ্রী রামের ‘কর্তব্য বল’-এর শিক্ষা থেকে, আমরা তাঁর শাসনকে সম্মান জানাতে এবং বিশ্বব্যাপী আমাদের পরিচয় প্রতিষ্ঠা করতে ‘কর্তব্য পথ’ নিয়ে এসেছি।’
অযোধ্যার দীপোৎসবের অনুষ্ঠান বিশ্বব্যাপী সকলে দেখছেন বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, সরকারের পক্ষ থেকে অযোধ্যা শহরের উন্নয়নের জন্য অনেকগুলি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।