নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত অয়ন শীলের প্রায় একশো কোটির সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের। ইডি- সূত্রে এও জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত অয়ন শীলের নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির সন্ধান মিলেছে। একইসঙ্গে বেশ কিছু সম্পত্তি সংক্রান্ত নথিও হাতে পেয়েছেন ইডি-র আধিকারিকেরা। পাশাপাশি ইডি-র তরফ থেকে এও জানানো হয়েছে যে, যে স্থাবর সম্পত্তির নথি বা প্রমাণ ইডি-র তদন্তকারীদের হাতে এসেছে তার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ১০০ কোটি টাকা। এর পাশাপাশি রয়েছে অয়ন শীল, তাঁর স্ত্রী ও ঘনিষ্ঠদের মিলিয়ে প্রায় ৫০টির বেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। কারণ, একের পর এক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সন্ধান পাচ্ছেন ইডি-র আধিকারিকেরা। তবে এখানেই শেষ নয়। আরও বেশ কিছু সম্পত্তির খোঁজ মিলবে বলেই ধারনা ইডি-র আধিকারিকদের। এদিকে যে সব অ্যাকাউন্ট মিলেছে তার যাবতীয় লেনদেনও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। এর আগেও কয়েকশো কোটি টাকার খোঁজ মিলেছিল গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সাইগল হোসেনের সম্পত্তি থেকে। এবার ফের একশো কোটির সম্পত্তির সন্ধান পেল ইডি।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা অয়ন শীলের সল্টলেকের ভাড়াবাড়িতে হানা দিয়ে দীর্ঘক্ষণ তল্লাশি চালানোর পর গ্রেপ্তার করা হয় তথাকথিত প্রোমোটার হিসেবে পরিচিত অয়নকে। তবে প্রোমোটারিতেই যে অয়নের কাজকর্ম আবদ্ধ ছিল তা নয়। কারণ তদন্তে নেমে সামনে এশেছে তার সঙ্গে জড়িয়ে নিয়োগ দুর্নীতি থেকে আরও অনেক কিছু ঘটনা। হুগলিতে পেট্রোল পাম্প সহ একাধিক সম্পত্তির বিষয়ে তথ্য উঠে আসছে। একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের প্রসঙ্গও উঠে আসছে। যদিও অয়নের স্ত্রী কাকলি শীলের দাবি, তিনি পেট্রোল পাম্পের বিষয়টি জানলেও বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের যে তথ্য উঠে আসছে, সেই বিষয়ে কিছুই জানতেন না তিনি। কাকলি শীল এও জানিয়েছিলেন, যখন যা সই করতে হয়েছে, তিনি চোখ বুজে সই করে দিয়েছেন। তবে ইডি সূত্র মারফত অয়ন শীলের যে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে, তাতে আবারও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, এত সম্পত্তির বহর নিয়ে।অয়নের বাড়ি থেকে বেশ কিছু ওএমআর শিটও উদ্ধার হয়। অয়নের খোঁজ পাওয়ার পরই আদালতে ইডির তরফে দাবি করা হয়েছিল, অয়ন শীল নাকি সোনার খনি। সেই সোনার খনি থেকে আপাতত খোঁজ মিলেছে ১০০ কোটির সম্পত্তির।