অক্ষর প্যাটেল শো দেখেছে পোর্ট অফ স্পেনের কুইন’স পার্ক ওভাল। গত রবিবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে আগুনে পারফর্ম করেছেন গুজরাতের বছর আঠাশের ক্রিকেটার। সাতে ব্যাট করতে নেমে ৩৫ বলে ৬৪ রানের অপরাজিত ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলেছেন অক্ষর। তাঁর ব্যাটিংয়ে মোহিত হয়েছে বাইশ গজ। অক্ষরের সৌজন্যেই ভারত ২ বল বাকি থাকতেই ২ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয়। পাশাপাশি এক ম্যাচ হাতে রেখে ভারত সিরিজ জিতে নেয় ২-০ ব্যবধানে। অক্ষর করে ফেললেন অনন্য রেকর্ড।
দিল্লি ক্যাপিটালসের তারকা অলরাউন্ডার তাঁর ইনিংসে ৩টি চার ও ৫টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন। আর এই ইনিংস খেলার পথেই অক্ষর করলেন অনন্য রেকর্ড। একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাত বা তার নীচে ব্যাট করতে নেমে এবং রান তাড়া করে জেতার ক্ষেত্রে, সবচেয়ে বেশি ছয় মারার রেকর্ড করলেন অক্ষর। ভারতের প্রাক্তন কিংবদন্তি অধিনায়ক এমএস ধোনি ২০০৫ সালে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে তিনটি ছয় মেরেছিলেন রান তাড়া করতে নেমে। ২০১১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা ও আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে দু’বার ধোনির রেকর্ড স্পর্শ করেছিলেন ইউসুফ পাঠান। তবে অক্ষর সবাইকে ছাপিয়ে ইতিহাস লিখলেন।
ম্যাচের পর অক্ষর বলেন, “আমার মনে হয় এই ইনিংস স্পেশ্যাল। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময় খেলে দলকে সিরিজ জেতাতে পেরেছি। এরকমটা অতীতে আইপিএলে করেছি। আমাদের মাথা ঠান্ডা রেখে তীব্রতা ওপরের দিকে ধরে রাখতে হবে। প্রায় পাঁচ বছর পর দেশের হয়ে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেললাম। দেশের হয়ে এমনটাই খেলতে চাইছি।”আগামী বুধবার তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ। ভারতের কাছে সুযোগ রয়েছে উইন্ডিজকে হোয়াইওয়াশ করার। অক্ষরের থেকে এমন ইনিংসেরই প্রত্যাশা থাকবে।
রবিবাসরীয় এই জয়ের সঙ্গেই ভারত অনন্য ওয়ানডে ইতিহাস লিখল। কোনও একটি দলের বিরুদ্ধে টানা দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজ জয়ের রেকর্ড করল ভারত। শিখর ধাওয়ানের দল টপকে গেল চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে। এর আগে ওয়াঘার ওপারের দেশ জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ১৯৯৬-২০২১ পর্যন্ত টানা ১১টি সিরিজ জিতেছিল। ভারত ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ২০০৭ থেকে ২০২২ পর্যন্ত ডজন ওয়ানডে সিরিজ জিতল।