ডুরান্ড অভিযান শুরু হয়েছিল হার দিয়ে। শক্তিশালী মুম্বই সিটি এফসির বিরুদ্ধে মরিয়া চেষ্টা কাজে লাগেনি। মুম্বই তিন গোল করলেও একটি শোধ করেছিল মহমেডান এফসি। দ্বিতীয় ম্যাচে ইন্ডিয়ান নেভির বিরুদ্ধে আরও বেশি মরিয়া ছিল কলকাতার অন্যতম প্রধান। জেতার জন্য প্রয়োজন গোল, সেটাই তো আসছিল না! দ্বিতীয়ার্ধে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠল মহমেডান স্পোর্টিং। গোলের দরজাও খুলল। সাদা কালোর পক্ষে স্কোরলাইন ২-০ হতে পারত, কিন্তু রেফারির ভুলে হল ২-১। এ বারের টুর্নামেন্টে দ্বিতীয় ম্যাচে নেমেছিল মহমেডান স্পোর্টিং। প্রতিপক্ষ ইন্ডিয়ান নেভির কাছে ছিল এ বারের প্রথম ম্যাচ। শুরু থেকে মহমেডানকে আটকে রাখতে সমর্থ তারা। সাদা-কালো বাহিনীর গোলের দরজা খুলল দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই। মহমেডানারে অনবদ্য একটা মুভে দিক হারিয়েছিলেন ইন্ডিয়ান নেভির গোলরক্ষক বিষ্ণু। সেই সুযোগ হাতছাড়া করেননি দুর্দান্ত ছন্দে থাকা ডেভিড লালহানসাঙ্গা। আনমার্কড ডেভিড ডুরান্ডে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে গোল করলেন। ৫০ মিনিটে স্কোরলাইন ১-০ করে মহমেডান স্পোর্টিং। একটা গোলের অপেক্ষা ছিল। সেটা আসতেই সুযোগ তৈরি হতে থাকে। লিড আটকাতে মরিয়া চেষ্টা করে ইন্ডিয়ান নেভি। গোলরক্ষক বিষ্ণু একটি লং রেঞ্জার অনবদ্য দক্ষতায় বাঁচিয়ে দেন। মহমেডানের বিদেশি অ্যালেক্সিস বেশ কিছু শট নেন। মহমেডান সব মিলিয়ে ম্যাচে ১০টি শট টার্গেটে রাখে। ম্যাচের ৬৯ মিনিটে সাদা-কালো বাহিনীকে ২-০ এগিয়ে দেন লালরেমসাঙ্গা। মহমেডানের কিছুটা ছন্দপতন হয় অ্যাডেড টাইমে। ইন্ডিয়ান নেভির ফুটবলার মহমেডান বক্সের মধ্যে পড়ে যান। মহমেডানের ৩ নম্বর জার্সির ফুটবলার ডেটলকে রেড কার্ড দেখান রেফারি। নেভিকে পেনাল্টিও দেওয়া হয়। যদিও রিপ্লেতে দেখা যায়, ডেটলের সঙ্গে ধাক্কা নয়, মাঠে পা আটকে পড়েছিলেন নেভির সেই ফুটবলার। পেনাল্টি থেকে নেভির হয়ে এক গোল শোধ করেন ব্রিত্তো।