নিজস্ব প্রতিবেদন, কালনা: ডেঙ্গু মাথা ব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে প্রশাসনের। তাই ডেঙ্গু নিয়ে কালনাবাসীকে সচেতন করতে এবার পথে নামলেন কালনার মহকুমা শাসক। শুক্রবার কালনা কোর্ট চত্বর থেকে ছোট দেউরি বাজার, চকবাজার সহ বিভিন্ন এলাকায় পরিদর্শন করেন কালনা মহকুমা শাসক। একই সঙ্গে এলাকার মানুষকে সচেতনও করেন। বিভিন্ন দোকানের ময়লা আবর্জনা রাস্তার ধারে না ফেলে নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলার কথাও বলেন তিনি। তিন জন দোকানদারকে ৫০০ টাকা করে জরিমানা করা হয়। এই কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন কালনার মহকুমা শাসক শুভম আগরওয়াল, কালনা পুরসভার পুরপতি আনন্দ দত্ত, কাউন্সিলর অনিল বসু সহ বিশিষ্টজনরা।
অপর দিকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন জেলা প্রশাসন। এখনও পর্যন্ত পূর্ব বর্ধমানে প্রায় সাড়ে ৭০০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত। তা নিয়ন্ত্রণে আনতে পূর্ব বর্ধমানের জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে সকলকে পদক্ষেপ গ্রহণের আবেদন জানানো হয়। শুক্রবার এই বিষয়ে বর্ধমান শহরের সংßৃñতি লোকমঞ্চের অ্যানেক্স হলে জেলা পরিষদের সদস্য, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, কর্মাধক্ষ্য, পুরসভার কাউন্সিলরদের নিয়ে এক বিশেষ বৈঠক করেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি।
সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার জানান, পঞ্চায়েত লেভেলের জনপ্রতিনিধিরা প্রত্যেকের বাড়ি বাড়ি যাবেন এবং কোথাও জমা জল রয়েছে কিনা সে বিষয়ে নজর দেবেন এবং তাঁদেরকে ডেঙ্গুর বিষয়ে সচেতন করবেন। শনিবার থেকে তাঁরা তাদের অভিযান শুরু করবেন। কী করে ডেঙ্গু প্রতিরোধ করা যায় সেই নিয়ে তাঁরা বৈঠকে বসেন। এ বিষয়ে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, প্রশাসন ও জেলা পরিষদ সম্পূর্ণভাবে সজাগ রয়েছে। পাশাপাশি ডেঙ্গু প্রতিরোধে মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে, তারা বিভিন্ন জায়গায় স্প্রে শুরু করেছে। এমনকি কেউ বাড়িতে যদি না থাকে। বাড়ি ফাঁকা থাকলে, সেখানে প্রশাসনিক সাহায্য নিয়ে তালা ভেঙে বাড়িতে ঢুকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হবে। পূর্ব বর্ধমানে পূর্বস্থলী ১ ও ২ কালনা-১ ও ২ এই জায়গাগুলোতে ডেঙ্গুর প্রভাব এখনও বেশি রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।