ছেলের খুনের বিচার চাই, আদালতে দাবি অভিজিতের মায়ের

সুরক্ষার ঘেরাটোপেই সোমবার সকালে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে আসেন কাঁকুড়গাছির মৃত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের দাদা বিশ্বজিৎ সরকার এবং তাঁর মা। এদিন আদালতে ঢোকার সময়ে অভিজিতের মা বলেন,’আমি বিচার চাই। খুনিদের শাস্তি হোক। মায়ের সামনে ছেলেকে খুন করা হয়েছে। চোখের সামনে ছেলেকে খুন হতে দেখেছিলাম। এর বিচার যেন তাড়াতাড়ি পাই।’
তবে এদিন সাক্ষ্যগ্রহণ চলাকালী বিচারকের সামনেই অসুস্থ হয়ে পড়েন অভিজিৎ সরকারের মা। তাঁকে এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বিশ্বজিৎ সরকারের অভিযোগ, আদালত নিরাপত্তা দেওয়ার কথা বললেও কেবল সিভিক পুলিশ বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে নিরাপত্তা। তার জেরে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তাঁর মা। তাই তিনি বারবার সাক্ষ্য দিতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বলে দাবিও করেন অভিজিতের দাদা। পাশাপাশি তিনি এও জানান, বিচারকের কাছে তাঁরা আবার নিরাপত্তার আবেদন করবেন।
প্রসঙ্গত, ভোট পরবর্তী হিংসার মামলার মধ্যে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মামলা হল অভিজিৎ সরকার খুনের মামলা। সেদিন কাঁকুড়গাছিতে অভিজিতের বাড়ির অদূরেই তাঁকে পিটিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। এই মামলায় শাসকদলের একাধিক নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। হাইকোর্ট এই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। তদন্তে নেমে সিবিআই ২০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়। তবে এখনও বেশ কয়েকজন অধরা। তাদের নামে পুরস্কারও ঘোষণা করে আদালত। এই মামলাটি চলতে চলতেই আইনজীবী বদল করা হয়। বদল করা হয় তদন্তকারী অফিসারও।
এরই মধ্যে বাড়িতে এসে অভিজিতের দাদা ও মাকে হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। মামলা প্রত্যাহার না করলে খুন করা হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়। এর আগে ব্যাঙ্কশাল আদালতে সাক্ষ্য দিতে এসে অসুস্থ হয়ে পড়েন অভিজিতের মা। তাঁর ওপর একটা অত্যন্ত মানসিক চাপ তৈরি হয়। অভিজিতের মাকে তার আগের রাতে গিয়ে হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে। নিরাপত্তা চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অভিজিতের মা ও দাদা। বিচারপতি মান্থার এজলাসে মামলাটি ওঠে। বিচারপতি পুলিশকেই অভিজিতের মা ও দাদার নিরাপত্তার বিষয়টি সুনিশ্চিত করার নির্দেশ দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × two =