নিজস্ব প্রতিবেদন, সাগর: আর কিছুদিন পরই মকর সংক্রান্তি তিথি। পুণ্যের ডুব দিতে সারা দেশ থেকে লাখ লাখ পুণ্যার্থীর সমাগম ঘটবে কপিল মুনির পাদদেশে সাগরদ্বীপে। প্রতি বছরের মতো এবারও মেলার জন্য ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। সাগর মেলার সময় ঘন কুয়াশার জন্য অস্ট্রেলিয়া থেকে আনা হবে বিশেষ আলো। যে আলোতে ঘন কুয়াশার সময়ও দৃশ্যমানতা থাকে।
দেশের বিভিন্ন বিমান বন্দরে এই আলো ব্যবহার করা হয়। এছাড়া ৬০০টি অ্যান্টি ফগ লাইট লাগানো থাকবে মেলার বিভিন্ন পয়েন্টে ও নদীতে। এবারের সাগরমেলায় কুয়াশার সময়ও মেলার যাত্রী পরিষেবা চালু রাখতে বিশেষ জোর দিচ্ছে জেলা প্রশাসন। গঙ্গাসাগরের মেলা অফিসে ইতিমধ্যেই একটি বিশেষ প্রস্তুতি বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে পৌরহিত্য করেন জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা। উপস্থিত ছিলেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা, জেলা সভাধিপতি নীলিমা মিস্ত্রি, সুন্দরবনের পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও, গঙ্গাসাগর-বকখালি উন্নয়ন পর্যদের চেয়ারম্যান শ্রীমন্ত মালি সহ মেলার পরিকাঠামোর সঙ্গে যুক্ত সব বিভাগের আধিকারিকরা।
গতবারের মেলায় কুয়াশায় কাকদ্বীপের মুড়িগঙ্গা নদীর পলি কাটার ওপরও বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে। তৈরি করা হচ্ছে বিশেষ চ্যানেল। যে চ্যানেল দিয়ে ভাটার সময়ও ভেসেল পরিষেবা চালু রাখা যাবে বলে প্রশাসনের অনুমান। এছাড়া এবারেও বাবুঘাট থেকে মেলার মাঠ পর্যন্ত একাধিক বাফারজোন গড়ে তোলা হচ্ছে। পুণ্যার্থীদের ভিড় বাড়লে এই বাফারজোনে বিশ্রামের ব্যবস্থা করা হবে পুণ্যার্থীদের। এই বাফারজোনগুলিতে পানীয় জল, শৌচালয়, যাত্রীশেডের ব্যবস্থা থাকবে।
জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা বলেন, ‘জোরকদমে চলছে মেলার প্রস্তুতি। ইতিমধ্যে পরিকাঠামোর কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহের মধ্যে সব কাজ শেষ হবে।’ সুন্দরবন পুলিশ জেলার সুপার কোটেশ্বর রাও বলেন, ‘এবারের মেলায় ১৩ থেকে ১৫ হাজার পুলিশকর্মী ও উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা উপস্থিত থাকবেন। ড্রোনের ব্যবস্থা থাকবে। থাকছে মেগা কন্ট্রোল রুম।’
সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা জানান, চলতি মাসের শেষে বা জানুয়ারির শুরুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব¨্যােপাধ্যায় মেলার প্রস্তুতি সরজমিনে দেখতে আসবেন বলে জানিয়েছেন।