দ্বিতীয় দিনের শেষেই চালকের আসনে অস্ট্রেলিয়া

আরও একটা আইসিসি ট্রফি। ফল যেন হতাশার দিকেই। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে অনেক প্রত্যাশা ছিল। টানা দ্বিতীয় বার ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে ভারত। কিন্তু প্রস্তুতি! পর্যাপ্ত সময় ছিল না। যাঁরা পর্যাপ্ত প্রস্তুতির সময় পেয়েছেন তাঁরা প্রথম ইনিংসে ব্যর্থ। ওভালে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল সবে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ হয়েছে। ভারতের সঙ্গে কাপের দূরত্ব বেড়েছে। এখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানো মিরাকল ছাড়া কিছু নয়। প্রথম থেকেই পিছিয়ে ছিল ভারত। নানা দিক থেকেই। ব্যাটিং ব্যর্থতা সেই পিছিয়েই রাখল ভারতকে। শেষ বার ২০১৩ সালে আইসিসি ট্রফি জিতেছিল ভারতীয় দল। এ বারও হয়তো গ্যাপ মিটছে না। তার নানা কারণ রয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার পরিকল্পনা ছিল দ্বিতীয় দিন অন্তত টি-ব্রেক অবধি ব্যাটিং করা। সেই লক্ষ্য পূরণ না হলেও প্রথম ইনিংসে ৪৬৯-এর বিশাল রানে পৌঁছেছে অজিরা। জবাবে ভারতের শুরুটা ভালো হয়। তবে ৩০ রানে দুই ওপেনারকে হারাতেই চাপে। চেতেশ্বর পূজারা-বিরাট কোহলি জুটির ওপর বাড়তি ভরসা ছিল। জাজমেন্ট দিয়ে অবাক আউট হলেন পূজারার মতো ব্যাটার। বর্তমান প্রজন্মের অন্যতম সেরা ব্যাটার বিরাট কোহলি অস্বস্তিতে পড়লেন মিচেল স্টার্কের বাড়তি বাউন্সে। কট বিহাইন্ড হয়ে ফেরেন বিরাট। দ্বিতীয় দিনের শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫১ রান তুলেছে ভারত। এখনও পিছিয়ে ৩১৮ রানে। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ শেষ হতেই বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল। মাঝে এক সপ্তাহর মতো পার্থক্য। আইপিএল ফাইনাল গড়ায় রিজার্ভ ডে-তে। বৃষ্টি পিছু ছাড়েনি। আইপিএল ফাইনাল এবং WTC ফাইনালের মাঝে প্রস্তুতির সময় কমেছে। রাজস্থান রয়্যালস আইপিএল প্লে-অফে ওঠেনি। ফলে প্রথম ব্যাচেই ইংল্যান্ডে পৌঁছে প্রস্তুতি শুরু করেছিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। যদিও তাঁকে না খেলিয়ে তৃতীয় স্পেশালিস্ট পেসার হিসেবে উমেশ যাদবকে একাদশে রাখা হয়। ওভালে ম্যাচ যত এগোয় স্পিনাররা সাহায্য পেয়ে থাকেন। এখন আবহাওয়া শুষ্ক। অশ্বিনকে না খেলানো বড় ধাক্কা হল ভারতীয় শিবিরে। সেই আফশোস বেশি ধরা পড়ল যখন নাথান লিয়ঁ নিজের দ্বিতীয় ওভারেই জাডেজাকে ফেরালেন। ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দিয়েছিলেন ট্রাভিস হেড ও স্টিভ স্মিথ। দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই শতরানে পৌঁছোন স্টিভ স্মিথও। ট্রাভিস হেডের আউটে এই জুটি ভাঙে। ২৮৫ রান যোগ করেছে এই জুটি। জবাবে ভারতীয় দল পার্টনারশিপই গড়তে পারল না। মন্দের ভালো অজিঙ্ক রাহানে-রবীন্দ্র জাডেজা জুটি। ৭১ রান যোগ করে এই জুটি। দ্বিতীয় দিনের শেষে শ্রীকার ভরতের সঙ্গে ক্রিজে রয়েছেন রাহানে (২৯)। ভারতের ব্যাটিং ব্যর্থতার অন্যতম দায় চেতেশ্বর পূজারার। আইপিএলে খেলেননি তিনি। ইংল্যান্ডে কাউন্টি ক্রিকেটে খেলছিলেন। এখানকার পরিবেশ পরিস্থিতিতে তাঁর চেয়ে সেরা প্রস্তুতি ভারতীয় শিবিরে কারও হয়নি। পূজারা যেন উইকেট উপহার দিয়ে এলেন। জাজমেন্ট দিয়ে বোল্ড হন ভারতীয় দলের নতুন ওয়াল!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × 3 =