দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে মেলবোর্ন টেস্টের শুরু থেকেই ব্যাটে-বলে দাপট দেখায় অস্ট্রেলিয়া। আপাতত তৃতীয় দিনের শেষে বক্সিং ডে টেস্টের রাশ পুরোপুরি নিজেদের হাতে রাখেন প্যাট কামিন্সরা।
প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৮৯ রানে গুটিয়ে দিয়ে পালটা ব্যাট করতে নামে অস্ট্রেলিয়া। তারা দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করে ৩ উইকেটে ৩৮৬ রান তুলে। ট্রেভিস হেড ৪৮ ও অ্যালেক্স ক্যারি ব্যক্তিগত ৯ রানে অপরাজিত ছিলেন। তার পর থেকে খেলতে নেমে তৃতীয় দিনে অস্ট্রেলিয়া তাদের প্রথম ইনিংস ডিক্লেয়ার করে ৮ উইকেটে ৫৭৫ রান তুলে। সুতরাং, প্রথম ইনিংসের নিরিখে দক্ষিণ আফ্রিকার থেকে ৩৮৬ রানের বিশাল ব্যবধানে এগিয়ে থাকে অস্ট্রেলিয়া। ট্রেভিস হেড ব্যক্তিগত অর্ধশতরান পূর্ণ করে মাঠ ছাড়েন। তিনি আউট হন ৫১ রানে। ৫৫ বলের দাপুটে ইনিংসে হেড ৭টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। শতরানের আগে থামানো যায়নি অ্যালেক্স ক্যারিকে। তিনি ১১১ রান করে সাজঘরে ফেরেন। ১৪৯ বলের আগ্রাসী ইনিংসে ক্যারি ১৩টি চার মারেন।
এছাড়া ৫টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৭৭ বলে ৫১ রানের ধৈর্যশীল ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন ক্যামেরন গ্রিন, যিনি বল হাতে প্রথম ইনিংসে দলের হয়ে সব থেকে বেশি ৫টি উইকেট নেন। সুতরাং, মেলবোর্ন টেস্টে ৫ উইকেট ও হাফ-সেঞ্চুরির অনবদ্য ডুয়েল উপহার দেন অজি অল-রাউন্ডার।তার আগে প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ২০০ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন ডেভিড ওয়ার্নার, যিনি কেরিয়ারের ১০০তম টেস্ট ম্যাচে মাঠে নেমেছেন। ২৫৫ বলের ইনিংসে ওয়ার্নার ১৬টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। স্টিভ স্মিথ করেন ১৬১ বলে ৮৫ রান। তিনি ৯টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। ন্যাথন লিয়ঁ ২৫ ও মার্নাস ল্যাবুশান ১৪ রানের যোগদান রাখেন। ১০ রানে অপরাজিত থাকেন মিচেল স্টার্ক।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে প্রথম ইনিংসে ৯২ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট নেন এনরিখ নরকিয়া। ১৪৪ রান খরচ করে ২টি উইকেট নিয়েছেন কাগিসো রাবাদা। ১টি করে উইকেট পকেটে পুরেছেন লুঙ্গি এনগিদি ও মারকো জানসেন। উইকেট পাননি কেশব মহারাজ।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা তৃতীয় দিনের শেষে ১ উইকেট হারিয়ে ১৫ রান তোলে। খাতা খোলার আগেই কামিন্সের বলে ক্যারির দস্তানায় ধরা পড়েন ডিন এলগার। সারেল এরউই ৭ ও থিউনিস ডি’ব্রুইন ৬ রানে নট-আউট থাকেন। অস্ট্রেলিয়ার থেকে এখনও ৩৭১ রানে পিছিয়ে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। সুতরাং, প্রথম টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার কাছে বিধ্বস্ত হওয়ার পরে বক্সিং ডে টেস্টেও বেকায়দায় দক্ষিণ আফ্রিকা। বলা বহুল্য, এই টেস্টেও প্রোটিয়ারা হারলে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে যাওয়ার পথে সুবিধা হবে টিম ইন্ডিয়ার।