বোনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক প্রতিবেশী বছর ৩০ এর যুবক সবুর সরদারের। এই সন্দেহে যুবককে খুনের চেষ্টার অভিযোগ যুবতী দাদা অনুপ সরকার ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার সেনাকর্মী দাদা। ঘটনাটি ঘটেছে, বসিরহাট মহকুমার হাসনাবাদ থানার শিমুলিয়া কালীবাড়ি এলাকায়। আক্রান্ত যুবকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বর্তমানে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্ত যুবক সবুর সরদা ও বছর ২২ এর যুবতী একই গ্রামের বাসিন্দা। অভিযোগ দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। এই অভিযোগে রাজস্থানের যোধপুরে সেনাবাহিনীতে কর্মরত দাদা অনুপ সরদার ছুটিতে বাড়ি এসেছেন। বৃহস্পতিবার রাত এগারোটা নাগাদ যুবক সবুর সরদার নিজের মেছো ঘেরী থেকে বাড়ি ফিরছিল, সেই সময় ওই যুবতীর বাড়ির সামনে আসতেই পথ আটকায় যুবতীর দাদা সেনাকর্মী অনুপ সরকার সহ বিধান সরকার, আমরি সরকার এই তিনজন। অভিযোগ, ওই যুবককে ধরে প্রথমে তার হাত-পা বেঁধে লোহার রড, ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপাতে শুরু করে ওই তিনজন। শরীরের একাধিক অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তারপর বাড়ির পাশে ফাঁকা মাঠে ফেলে দেয়। এই ঘটনা জানাজানি হতেই যুবককে রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে প্রথমে টাকি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। আক্রান্ত যুবকের বাবা, জাকির সরদার ওই যুবতীর দাদা তথা সেনাকর্মী অনুপ সরকার, বিধান সরকার, আমরি সরকার এই তিন জনের বিরুদ্ধে ছেলেকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেন হাসনাবাদ থানায়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে অনুপ সরকারকে শনিবার ভোররাতে হাসনাবাদ থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করে। ধৃতকে এদিন বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে পুলিশি হেপাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। বোনের সঙ্গে প্রেম ভালোবাসা আছে বলেই শুধুই কি সন্দেহের বশে যুবককে খুনের চেষ্টা, নাকি এর পিছনে পূর্বপরিকল্পিত কোনও ঘটনা আছে? সেই সবটাই তদন্তকারীরা একবার দেখে নিতে চাইছে। এই ঘটনার পর ওই এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হওয়ায় গ্রামে টহল দিচ্ছে পুলিশ।