হাঁচি, কাশি, জ্বর, শর্দি। সিজন চেঞ্জের সময় এসব তো হয়েই থাকে। কিন্তু চিকিত্সকদের মাথাব্যাথা বেড়াচ্ছে বিপজ্জনক ব্যাকটেরিয়া, স্ট্রেপটোকক্কাস নিমোনিয়াই। অনেকেই যেটাকে ভাইরাল ফিভার বা সাধারণ শর্দি-গর্মি ভাবছেন, সেটা কিন্তু আদতে নয়।
চিকিৎসকরা বলছেন, কলকাতায় যাঁরা জ্বর, সর্দি, কাশি, কিম্বা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন, তাঁদের অধিকাংশেরই অসুখের পিছনে রয়েছে এই বিশেষধরণের ব্যাকটেরিয়া। উপসর্গ সাধারণ সর্দি-কাশির মতোই। বাড়ির একজনের হলে সবার হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মূলত, ড্রপলেট, হাঁচি, কাশির মাধ্যমেই একজনের শরীর থেকে আরেকজনের শরীরে ঢুকে যাচ্ছে এই ব্যাকটেরিয়া। সাধারণ অ্যান্টিবায়োটিকে সামাল দেওয়া যাচ্ছে না এই রোগকে। তাই, বাড়তি সতর্ক থাকতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
বাড়ির কেউ আক্রান্ত হলে, তাঁকে একটি ঘরে আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউগুলিতে অন্তত ২০ জন এই বিশেষপ্রকার ব্যাকটেরিয়া জনিত নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি।