পেলে গেট তৈরি হবে বাগানে, ব্রাজিলের কিংবদন্তির স্মৃতিতে ডুবে সবুজ-মেরুন

তিনি এসেছিলেন। খেলেছিলেন। সবার মন জয় করেছিলেন। ৪৫ বছর আগে ইডেন গার্ডেন্সে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে খেলেছিল পেলের নিউইয়র্ক কসমস। ফুটবলের সম্রাটকে দেখতে কানায় কানায় ভর্তি ছিল সেদিনের ইডেন। মোহনবাগান একমাত্র ক্লাব যাদের বিরুদ্ধে প্রদর্শনী ম্যাচ খেলতে এসেছিলেন পেলে। তাঁর প্রয়াণে নির্বাক হয়েছে কলকাতা। মৃত্যুর পর মিলিয়ে দিলেন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী তিন প্রধান মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল-মহমেডানকে।

ব্রাজিলের সাও পাওলোর একটি হাসপাতালে কোলন ক্যান্সারের সঙ্গে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর মৃত্যুবরণ করেন ফুটবল সম্রাট পেলে। এই খবর পৌঁছাতেই ব্রাজিলের মতো কলকাতাতেও নেমে আসে শোকের ছায়া। তাদের পতাকা অর্ধনমিত রাখে মোহনবাগান। ইস্টবেঙ্গল, মহমেডানও তাদের পতাকা অর্ধনমিত রাখে। মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত ঘোষণা করেছেন যে, তাঁরা শীঘ্রই ক্লাবের তাঁবুতে ‘পেলে গেট’ তৈরি করবেন। তিনি বলেন, ‘আমরা পেলে গেট তৈরি করব তা ঘোষণা করেছি। কাজ যথাসম্ভব তাড়াতাড়ি শুরু হবে। সাধারণ মানুষের জন্য তা খোলা থাকবে।’

পেলের দলের বিরুদ্ধে খেলার স্মৃতিচারণ করে বাগান সচিব বলেন, ‘২৪শে সেপ্টেম্বর, ১৯৭৭ ক্লাবের ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন। আমরা নিউইয়র্ক কসমসের বিরুদ্ধে শুধু ক্লাব নয় দেশেরও প্রতিনিধিত্ব করেছিলাম। মোহনবাগানকে ভারতের ‘একমাত্র’ ফুটবল ক্লাব হিসাবে জানত। মানুষ আসবে এবং যাবে এবং এই দিনটি চিরকাল ইতিহাসে খোদাই করা থাকবে। শুক্রবার বিকেলে প্রাক্তন খেলোয়াড়, তিন প্রধানের কর্তা এবং রাজ্যের ক্রীড়া মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস সল্টলেক স্টেডিয়ামে কিংবদন্তি ফুটবলারকে শ্রদ্ধা জানান।
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বিতা ভুলে একসঙ্গে পা মিলিয়েছেন তিন প্রধানের কর্মকর্তারা। ইস্টবেঙ্গল সভাপতি ড: প্রণব দাশগুপ্ত বলেন, ‘পেলে বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনের একজন সম্রাট। আমরা সবাই বিশ্বের ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়াপ্রেমীরা সম্রাটকে হারিয়ে গভীরভাবে শোকাহত। এই শূন্যতা কখনও পূর্ণ হবে না।’

ক্রীড়া মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, ‘আমরা ফুটবলের রাজাকে হারিয়েছি। যতক্ষণ চাঁদ এবং সূর্য থাকবে ততক্ষণ অনেক খেলোয়াড় আসবে, কিন্তু পেলের মতো খেলোয়াড় আর জন্মাবেন না।’ ভারতের প্রাক্তন ফুটবলার দিব্যেন্দু বিশ্বাস বলেন, ‘পেলে ফুটবল সম্রাট। তাঁর দ্বারা প্রভাবিত হতো না এমন কোনও ফুটবলার নেই। তার মৃত্যুতে একটি যুগের সমাপ্তি ঘটল।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

14 − two =