গাজা, ১৯ মে: গাজার দক্ষিণের শহর রাফায় গত সপ্তাহ থেকে ইজরায়েলি সেনা জোরালো অভিযান শুরু করায় সেখান থেকে অন্তত আট লাখ প্যালেস্তিনীয় প্রাণে বাঁচতে পালিয়ে গিয়েছেন, বর্তমানে তাঁরা উদ্বাস্তু। এ তথ্য জানিয়েছে প্যালেস্তিনীয় শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ।
প্যালস্তিনীয়দের বারবার গৃহহারা হওয়ার জন্য শনিবার তীব্র সমালোচনা করেন ইউএনআরডব্লিউএর প্রধান ফিলিপ লাজারিনি। এক বিবৃতিতে ফিলিপ লাজারিনি জানান, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গাজায় প্যালেস্তিনীয়রা বারবার বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে তাঁরা বারবার পালাতে বাধ্য হয়েছেন। কিন্তু কোথাও তাঁরা নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজ পাননি। এমনকি জাতিসংঘ পরিচালিত নানা আশ্রয়কেন্দ্রেও তাঁরা নিরাপদ ছিলেন না।
এদিকে শনিবার রাফা ছাড়াও গাজাজুড়ে যুদ্ধ শুরু হয়েছে। ইজরায়েলি হামলায় এদিন বহু প্যালেস্তিনীয় প্রাণ হারিয়েছেন। হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তরফে শনিবার শুরুতেই বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় গাজায় ইজরায়েলি সেনার হামলায় ৮৩ জন মারা গিয়েছে। পরে জানা যায়, গাজার উত্তরাঞ্চলের কামাল আদওয়ান হাসপাতালে ৪০ জনের মরদেহ আনা হয়েছে। জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইজরায়েলি বোমা হামলায় তাঁরা মারা যান। অন্য একটি হামলায় কমপক্ষে ১৫ জন প্রাণ হারান।
গাজার ঐতিহাসিক আটটি শরণার্থী শিবিরের সবচেয়ে বড় জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের বাসিন্দারা জানান, জাবালিয়ার কেন্দ্রস্থলে ইজরায়েলের বুলডোজার পৌঁছে গিয়েছে। পথে যে সব বাড়িঘর ও দোকানপাট পড়েছে, তা গুঁড়িয়ে দিয়েছে বুলডোজারগুলো। গাজায় হামলা শুরুর প্রথম দিকে জাবালিয়াকে যোদ্ধামুক্ত করার ঘোষণা করলেও, গত সপ্তাহে ইজরায়েল বাহিনীর তরফে জানানো হয়, গাজার যোদ্ধাদের সংগঠিত হতে না দিতে আবার জাবালিয়ায় অভিযান শুরু করছে তারা। গাজায় ইজরায়েলের এই হামলা শুরুর সাত মাস অতিক্রান্ত। এখনও পর্যন্ত গাজা উপত্যকায় ৩৫ হাজারের বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।