লখনউয়ের হোটেলে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৬ জনের। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১০ জন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার ভোরে লখনউয়ের হজরতগঞ্জ এলাকার অভিজাত হোটেল ‘লেভানা’ তছনছ হয়ে যায় আগুনে। কালো ধোঁয়া গ্রাস করে ওই হোটেল-সহ গোটা এলাকাকে। যদিও ধোঁয়া দেখা মাত্র হোটেল ছাড়েন আবাসিকদের একাংশ। কিন্তু সেখানে আটকেও পড়েন বেশ কয়েকজন। হোটেলে আপৎকালীন দরজা না থাকাতেই তাঁরা আটকে পড়েন বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (CM Yogi Adityanath)। প্রশাসনের উদ্দেশে তাঁর বার্তা দেন, দুর্ঘটনায় আহতদের জন্য যেন উপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। জেলা প্রশাসনের সমস্ত আধিকারিকদের ঘটনাস্থলে পৌঁছে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন তিনি। ঘটনার খবর নিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে্ন তিনি।
লখনউ প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মোট ১৫ জন আটকে পড়া আবাসিককে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এদের মধ্য দু’জন উদ্ধারের সময়ই অজ্ঞান হয়ে পড়েন। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্র জানা গিয়েছে, ওই হোটেলে কোনও এমার্জেন্সি এক্সিট আপৎকালীন দরজা ছিল না। এমনকী রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রগুলিও ছিল সম্পূর্ণ অকেজো। দিন দুই আগে বিভিন্ন কারণে লখনউ ডেভলপমেন্ট অথরিটি নোটিস পাঠিয়েছিল এই হোটেলটিকে। এরপর এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে গেল।
সকালে স্থানীয়রাই দমকলে খবর দেন। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে হাজির হন দমকল কর্মীরা। আসে অন্য উদ্ধারকারী দল। আগুন নেভাবার চেষ্টার পাশাপাশি আটকে থাকা আবাসিকদের উদ্ধারের কাজ শুরু হয়। মই ব্যবহার করে হোটেলের জানলার কাচ ভেঙে কয়েকজনকে উদ্ধার করা হয়। যদিও ৬ জন আবাসিকের ঝলসে মৃত্যু হয়। ১০ জন গুরুতর আহতকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যাওয়ায় অক্সিজেন মাস্ক পরে হোটেলের ভিতরে ঢোকেন উদ্ধারকারীরা।