রবিবার সন্ধেতে গুজরাতের মোরবি জেলার মাচ্চু নদীর উপর একটি ঝুলন্ত সেতু ভেঙে তলিয়ে গেলেন বহু মানুষ। সেতুর উপরে থাকা সকলেই নদীতে পড়ে যান। এঁদের অনেককেই উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৩২ জনের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। জানা যাচ্ছে, অনেকের খোঁজ নেই। স্থানীয় সূত্রে খবর, সেতুটি সারানোর কাজ চলছিল। দিন পাঁচেক আগে নতুন করে খুলে দেওয়া হয় ওই সেতু। আর তারপরই রবিবার সন্ধ্যায় এই দুর্ঘটনা। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে অ্যাম্বুল্যান্স, তৎপরতার সঙ্গে চলছে উদ্ধার কাজ। দুর্ঘটনায় শিশু ও মহিলাদেরও মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। জলে ডুবে মৃত্যুর আশঙ্কা করছে পুলিশ ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা।
প্রথমে স্থানীয় বাসিন্দাদের সাহায্যে উদ্ধারকাজ চললেও, পরে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং পুলিশ গিয়ে উদ্ধারকাজ শুরু করে। এখনও সেই উদ্ধারকাজ চলছে। আপৎকালীন পরিস্থিতির মোকাবিলায় অনেকগুলি অ্যাম্বুল্যান্সকে ঘটনাস্থলে নিয়ে আসা হয়। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, রক্ষণাবেক্ষণের পর পাঁচ দিন আগেই নতুন করে চালু করা হয়েছিল সেতুটিকে। ছ’দিনের মাথাতেই ঘটে গেল বিপর্যয়।
গুজরাত সফর করছেন প্রধানমন্ত্রী রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার মধ্যেই ঘটে গেল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে দাবি, অত্যাধিক ওজন নিতে না পারার কারণে ব্রিজটি ভেঙে পড়ে। দুর্ঘটনার সময় ৫০০ মানুষ ছিল সেতুটিতে। এছাড়াও ব্রিজটি দুর্বল হয়ে পড়েছিল। যদিও কয়েকশো কোটি টাকা খরচ করে তা মেরামতির পর চার দিন আগে জনতার জন্য খুলে দেওয়া হয়। তারপরেও কেবল ব্রিজটি ভেঙে পড়ল কেন? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে এখন। অভিযোগ উঠছে বড়সড় দুর্নীতির।
অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজের রাজ্যের ভয়াবহ দুর্ঘটনার বিষয়ে খবর নিয়েছেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্রভাই প্যাটেলের থেকে। তাঁকে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন মোদি। পাশাপাশি ঘোষণা করেছেন আর্থিক সাহায্য। দুর্ঘনায় মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। আহতদের চিকিৎসার জন্য ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য করবে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর।