পেশোয়ারের মসজিদে আত্মঘাতী বিস্ফোরণে মৃত কমপক্ষে ৫৬, আহত ১৯৪-এর বেশি

মসজিদে প্রার্থনার সময় হঠাৎই কেঁপে উঠল পেশোয়ার(Peshawar)। মসজিদে (Masque) তখন নমাজ পড়ছিলেন শতাধিক মানুষ। তখনই আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে (Suicide Blast) নিহত হলেন অন্তত ৫৬ জন। আহত ১৯৪- এর বেশি। শুক্রবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে পেশোয়ারের কিস্‌সা খাওয়ানি বাজারের একটি মসজিদে। বিস্ফোরণে নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan)। ঘটনার প্রবল নিন্দা করে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন দ্রুত উদ্ধারকাজ শেষ করার। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করাতে যাতে কোনও অসুবিধা না হয় সে নিয়ে আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন।

পাক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে উদ্ধারের কাজ শুরু হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় লেডি রিডিং হাসপাতালে (Lady Reading Hospital) ভর্তি করা হয়েছে। উদ্ধার কাজে হাত লাগিয়েছেন স্থানীয়রাও। কী ভাবে এই বিস্ফোরণ হল, বিস্ফোরণের পিছনে কারা রয়েছে, এ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অন্যদিকে, লেডি রিডিং হাসাপাতাল কর্তৃপক্ষের সূত্র উদ্ধৃত করে পাক সংবাদমাধ্যমগুলি জানাচ্ছে, আহতদের মধ্যে ১০ জনের অবস্থা অতি সঙ্কটজনক।

পেশোয়ারের মুখ্যমন্ত্রী মাহমুদ খান এই ঘটনার নিন্দা করেছেন। তিনি পেশোয়ার পুলিশের কাছে দ্রুত এর রিপোর্ট তলব করেছেন। এর মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর থেকে নিশ্চিত করা হয় যে, এটি একটি আত্মঘাতী হামলা। জানানো হয়, হামলাকারীরা মসজিদে ঢোকার চেষ্টা করে। তাদের পিছু নেয় পুলিশ। দুই পক্ষের গুলি বিনিময় শুরু হয়। তার মধ্যেই এক আততায়ী মসজিদে ঢুকে পড়ে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটায়। প্রবল বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। ঘটনাস্থলেই নিহত হন ৩০ জন। আহত হয়েছেন বহু মানুষ।শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আহতের সংখ্যা ১৯৪ হয়েছে। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করেছে প্রশাসন।

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় পেশোয়ার শহরের পুলিশ প্রধান মহম্মদ আইজাজ খান জানিয়েছেন, দুই জন হামলাকারী মন্দিরে ঢোকার চেষ্টা করেন। সেখানে উপস্থিত দুই পুলিশ কর্মীর ওপর আততায়ীরা গুলি চালিয়েছেন। গুলিতে এক পুলিশকর্মীর মৃত্যু হয়েছে এবং অপর এক পুলিশকর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। খান জানিয়েছেন, গুলি চালনার ঘটনার পরই মসজিদ বিস্ফোরণে (Blast) শব্দে কেঁপে ওঠে। সাংবাদিকদের ওই পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন বিস্ফোরণের ফলে অনেকেই আহত হয়েছেন এবং পুলিশের একটি বড় দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছে। আইজাজ খানের মতে, বিস্ফোরণের কারণ ও কী ধরনের বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছিল, এখনই তা বলা সম্ভব নয়। তবে কোনও তথ্য পেলে  তা জানানো হবে।

মসজিদে বিস্ফোরণের পর সেখানে পুলিশের পাশাপাশি পাকিস্তান সেনা বাহিনীর দলও পৌঁছে গিয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে। বিস্ফোরণস্থল ঘিরে ফেলা হয়েছে। ঘটনাস্থলে ইতিমধ্যেই বোম্ব স্কোয়াড (Bomb Squad) পৌঁছে গিয়েছে এবং এলাকা পরিদর্শন করে দেখছে সেখানে আর কোনও বোমা আছে কিনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × three =