চেক প্রজাতন্ত্রের রাজধানী প্রাগের চার্লস বিশ্ববিদ্যালয়ের চত্বরে গুলি চালনার ঘটনায় কমপক্ষে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত অন্তত ৩০ জন। তাঁদের মধ্যে ন’জনের অবস্থা গুরুতর। জানা গিয়েছে হামলাকারীরও মৃত্যু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে এমন ভয়াবহ হামলার জেরে আতঙ্কে শিক্ষক-পড়ুয়া সকলেই।এই ঘটনার সঙ্গে প্রাথমিকভাবে রাশিয়ার যোগ পাওয়া যাচ্ছে। পুলিশ আততায়ীর নাম-পরিচয় প্রকাশ করেনি। তবে, স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বন্দুকধারী ওই ছাত্রের নাম ডেভিড কোজাক, বয়স ২৪ বছর।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টে নাগাদ ওই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ গুলি চালানোর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে। ঘটনার পরেই ওই জান পালাখ স্কোয়ারে নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়। গোটা এলাকা সিল করে দেওয়া হয়। আশপাশের রাস্তা থেকেও মানুষজনকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনার বেশ কিছু ভিডিও সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তাতে বন্দুকবাজকে বহুতলের বারান্দায় বন্দুক হাতে দাঁড়িয়ে গুলি চালাতে দেখা যায়। তবে কী কারণে ওই হামলা চালানো হয়, বড় কোনও ষড়যন্ত্র আছে কি না, ওই ব্যক্তির পিছনে বড় কোনও চক্র বা গোষ্ঠী আছে নাকি কোনও জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে ওই ব্যক্তির কোনও যোগ আছে কি না, তা স্পষ্ট নয়।
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ২৪ বছর বয়সি বন্দুকবাজ চার্লস বিশ্ববিদ্যালয়েরই পড়ুয়া। নিজের গ্রামের বাড়ি থেকে বৃহস্পতিবার সে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছিল। খুব সম্ভবত আত্মহত্যার পরিকল্পনাও ছিল তার। হামলার পরে গুরুতর আহত হয়ে তার মৃত্যু হয়।
আততায়ীর মৃত্যুর কথা জানিয়ে চেক প্রজাতন্ত্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ভিট রাকুসন জানিয়েছেন, অন্য কোনও বন্দুকবাজ ঘটনাস্থলে ছিলেন না। যেখানে হামলা চালানো হয়েছে, ওই চত্বরেই রয়েছে চার্লস বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন, স্থাপত্য, শিল্পকলা বিভাগ।