অগ্নিপথ-বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে প্রাণহানি সেকেন্দরাবাদে, আহত অন্তত ১৫, গুরুগ্রামে জারি ১৪৪ ধারা, ফরিদাবাদে বন্ধ ইন্টারনেট

অগ্নিপথ বিরোধী বিক্ষোভে প্রথম রক্ত ঝরল তেলঙ্গানায়। শুক্রবার দুপুরে সেকেন্দরাবাদ স্টেশনে উত্তেজিত বিক্ষোভকারীদের ঠেকাতে গুলি চালায় পুলিশ। ওই ঘটনায় এক আন্দোলনকারীর মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন।

শুক্রবার দুপুরে সেকেন্দ্রাবাদ স্টেশনে আগুন লাগানো হয় প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা একটি যাত্রিবাহী ট্রেনে। পুলিশ সূত্রের খবর, স্টেশন চত্বরে ঢুকে পড়ে আন্দোলনকারীরা ট্রেন পোড়ায়। সে সময় উত্তেজিত জনতাকে ঠেকাতে অন্তত ১৭ রাউন্ড গুলি চালানো হয়। নিহত যুবক তেলঙ্গানার ওয়ারঙ্গল জেলার বাসিন্দা বলে সেকেন্দরাবাদ পুলিশ জানিয়েছে। আহতদের মধ্যে ১৩ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

অন্যদিকে, বিহার, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, তেলঙ্গানার পরে এ বার হরিয়ানা। নরেন্দ্র মোদি সরকারের ‘চুক্তিভিত্তিক সেনা’ নিয়োগের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ক্রমশই বিক্ষোভ দানা বাঁধছে রাজ্যে রাজ্যে। পরিস্থিতি সামলাতে অগ্নিপথ প্রকল্পে নিয়োজিত ‘অগ্নিবীর’দের চার বছরের মেয়াদ শেষের পর রাজ্য সরকারের চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলেছিলেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর। কিন্তু বিক্ষোভের আঁচ না মেটায় এ বার গুরুগ্রাম-সহ কয়েকটি এলাকায় জারি করা হল ১৪৪ ধারা।গুরুগ্রামের পাশাপাশি, আগামী ২৪ ঘণ্টার জন্য ফরিদাবাদের বল্লভগড়ে সমস্ত ধরনের জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার জন্য বন্ধ করা হয়েছে মোবাইল, ইন্টারনেট পরিষেবা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

12 − five =