এই মরশুমের কলকাতা লিগ নিয়ে নানান অভিযোগ উঠেছে। তার মধ্যে অন্যতম হল, কলকাতা লিগের প্রিমিয়ার ডিভিশনের ম্যাচ জেলার মাঠে আয়োজন। বেশিরভাগ খেলা আয়োজিত হয়েছে নৈহাটি, কল্যাণী, ব্যারাকপুর, চুঁচূড়ার মাঠে। কলকাতা ময়দান থেকে সরে যেতে বসেছিল লিগ। কেউ কেউ কটাক্ষ করে বলছেন, নামেই কলকাতা লিগ আদতে জেলার মাঠে আয়োজন হচ্ছে সব ম্যাচ। এই তকমা ঘোচানোর কাজ করল ইস্টবেঙ্গল ক্লাব।
প্রায় এক বছর পর ময়দানে ফিরল কলকাতা লিগের ম্যাচ। যখন বাকি দুই ক্লাব মোহনবাগান ও মহামেডান স্পোর্টিংয়ের কর্তারা নিজেদের মাঠে কলকাতা লিগের ম্যাচ আয়োজন করতে চাইছে না, রাজি হল ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। মাঠ তৈরি করে আইএফএ -এর দিকে বাড়িয়ে দিল সহযোগিতার হাত। গত বৃহস্পতিবার লাল-হলুদের ঘরের মাঠে আয়োজিত হয় কলকাতা লিগের সুপার সিক্সের পর্বের ম্যাচ ইস্টবেঙ্গল বনাম ইউনাইটেড কলকাতা স্পোর্টস ক্লাব। ইউনাইটেডকে ৩-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে জয় ছিনিয়ে নেয় লাল-হলুদ ব্রিগেড। মোহনবাগান ক্লাব সিনিয়র দলের অনুশীলনের জন্য মাঠ তৈরি করেছে।মাঠের মান নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণ দেখিয়ে কলকাতা লিগের ম্যাচ আয়োজন করবে না বলেই জানিয়েছিল মোহনবাগান। অপরদিকে মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের মাঠে এখনও উপযুক্ত নয়।
এদিকে ময়দানে কলকাতা লিগ ফেরায় সাজো-সাজো রব লেসলি ক্লডিয়াস সরণীর। রাস্তার দু’ধারে বসল জার্সি বিক্রেতা, সরবত বিক্রেতারা। সকল বিক্রেতারাও খুশি ময়দানে লিগের ম্যাচ ফেরায়। অন্যদিকে সুপার সিক্সের প্রথম ম্যাচে জয়ের পর চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে বড়সড় চুরির ঘটনা ঘটেছে। তিনি জানান, ক্লাব থেকে চুরি গিয়েছে প্রায় ১২-১৪ লক্ষ টাকার সরঞ্জাম। ক্লাব থেকে উধাও দু’টি ফ্লাডলাইটের বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম। এই বিষয়ে ক্লাব শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার বলেন, “রাস্তার দিকের দুটো ফ্লাডলাইটের নীচের প্লাগগুলো চুরি করে নিয়েছে। এটা কী ভাবে সম্ভব জানি না। খুব খারাপ ঘটনা। প্রায় ১২ থেকে ১৪ লক্ষ টাকার জিনিস চুরি হয়েছে। বেশি ছাড়া কম নয়। এটা তো আমাদের গ্যালারি না। পিডব্লিউডি এই গ্যালারি দেখাশোনা করে।”
পাশাপাশি ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের অনুশীলনের জন্য অ্যাস্ট্রো টার্ফ বসানোর কাজ চলছে। যেই কাজ প্রায় শেষের দিকে। ইস্টবেঙ্গল মাঠের র্যাম্পার্টের দিকে বানানো চলছে এই অ্যাস্ট্রাে টার্ফ প্র্যাক্টিস গ্রাউন্ড। যা ময়দানে নতুন। মিগুয়েল-রশিদরা এবার এই অ্যাস্ট্রো টার্ফেই অনুশীলন করতে পারবেন। জানা গিয়েছে, লন্ডন থেকে আনা হয়েছে এই টার্ফ। কোটি টাকারও বেশি খরচ হয়েছে। ফুটবল দলের অনুশীলনের কথা ভেবেই পরিকল্পনা করে এই অ্যাস্ট্রো টার্ফের মাঠ তৈরি করা হচ্ছে।

