গুয়াহাটি: চারপাশে শুধু জল আর জল। সড়কে জলস্রোত। খবর আসছে মৃত্যুরও। ক্রমশ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে অসমের বন্যা পরিস্থিতি। প্লাবিত ১৬টি জেলা। প্রায় পাঁচ লক্ষ মানুষ বন্যার প্রকোপে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কামরূপ, গোয়ালপারা, ধুবরী, বকসা, শোণিতপুর, বজালি জেলা। সেখানে প্রভাবিত আড়াই লক্ষের উপর মানুষ। বজালি থেকে নলবাড়ি পর্যন্ত আশি হাজারের উপর এবং বরপেটায় সত্তর হাজারের উপর মানুষ বন্যার কবলে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১০৭ বর্গ কিলোমিটার কৃষিজমি। এর মধ্যে অসম স্টেট ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথারিটি আরও এক ব্যাক্তির মৃত্যুর খবর জানিয়েছে। এখনও পর্যন্ত বন্যায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দুই। লাগাতার বৃষ্টির জেরে বিপর্যস্ত অসমের জনজীবন। ক্রমে এই ‘ভয়াবহ বন্যা’ পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশন জানিয়েছে, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ব্রহ্মপুত্র-সহ ১০টি নদী বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। যার মধ্যে বকসা জেলায় পুঁটিমারি নদী বিপদসীমার অনেকটাই উপর দিয়ে বইছে। জোরহাটে বিপদসীমার উপরে রয়েছে ব্রহ্মপুত্র নদ। ১৪ জেলার মোট ১৪০টি ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে ৩৫ হাজারের উপর মানুষ। যার মধ্যে রয়েছেন ৫৪৫ জন মহিলা। রয়েছেন ৬৭ জন বিশেষভাবে সক্ষম মানুষও। তবে আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা হলেও কমবে। হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে অসম এবং উত্তরের কয়েকটি রাজ্যে।