চূড়ান্ত রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা। স্বাধীনতার পর থেকে সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে প্রতিবেশী রাষ্ট্র। জ্বালানি থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ ও খাবারের চরম সঙ্কট সেই দেশে। এমনকী ওষুধ সরবরাহও ব্যহত। সাধারণ মানুষের চরম দৈন্যদশা দিনের আলোর মতো পরিস্কার। দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে শ্রীলঙ্কা। মানুষের তীব্র প্রতিবাদে দ্বীপরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টে গোটাবায়া রাজাপক্ষের পদত্যাগ করেছেন। এহেন অগ্নিগর্ভ শ্রীলঙ্কায় এবার এশিয়া কাপের আয়োজক দেশ। এই মুহূর্তে যা আপডেট, তাতে করে এশিয়া কাপ শ্রীলঙ্কা থেকে সরতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। বিকল্প ভেন্যু হিসাবে উঠে আসছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির নাম। শ্রীলঙ্কায় বর্তমান রাজনৈতিক ডামাডোলের পরিস্থিতিতে এশিয়া কাপ ক্রিকেট সরিয়ে নেওয়া হল। আগামী মাসেই শেষ দিকে টুর্নামেন্ট হওয়ার কথা ছিল। তবে এবার শ্রীলঙ্কার বদলে টুর্নামেন্ট হবে সংযুক্ত আরব আমিরশাহী অর্থাৎ ইউ এ ইতে। জানিয়ে দিল এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল। এই মুহূর্তে লঙ্কার মাটিতে টেস্ট খেলছে পাকিস্তান।
তিন ধরনের সিরিজ খেলে ফিরেছে অস্ট্রেলিয়া। গালের মাঠে যখন অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে খেলা চলছে তখন বাইরে হাজার হাজার জনতা প্রতিবাদে মুখর। কিন্তু ক্রিকেটারদের গায়ে আঁচড় লাগেনি। এর আগে প্রাক্তন শ্রীলংকান কিংবদন্তি সনথ জয়সূর্য জানিয়েছিলেন দেশের রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক পরিকাঠামো যেমনই হোক, এশিয়া কাপ আয়োজন করার ব্যাপারে কোন অসুবিধে হবে না।
এমনকি নিরাপত্তার ব্যাপারেও পূর্ণ সহযোগিতা করা হবে জানিয়েছিলেন জয়সূর্য। কিন্তু তার কথায় রাজি হয়নি এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল। তারা মনে করেছে এত বড় মাপের টুর্নামেন্ট এই অবস্থায় শ্রীলঙ্কায় করাটা ঝুঁকি হয়ে যাবে। দুটো দেশ খেললে তাও করা যেত। কিন্তু ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, শ্রীলংকা, আফগানিস্তান ছাড়াও হংকং, কুয়েত, সিঙ্গাপুর এবং আরব আমিরশাহী কোয়ালিফায়ার খেলবে।
এদের থেকে একটি দল উঠে আসবে ষষ্ঠ দল হিসেবে। এত দলের থাকা খাওয়া এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করার জন্য এই মুহূর্তে শ্রীলংকা ঠিক জায়গা নয় বুঝতে পেরেছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল। মাঝে শোনা যাচ্ছিল বাংলাদেশ সরে যেতে পারে এশিয়া কাপ। তবে বেশি মাঠ এবং উন্নত ব্যবস্থা থাকার কারণে বেছে নেওয়া হল আরব আমিরাতকে। অতীতে তাদের অভিজ্ঞতা আছে সফলভাবে আইপিএল আয়োজন করার। তাই সব দেশ আরবে এশিয়া কাপ খেলার ব্যাপারে সম্মতি জানিয়েছে। সেখানে থাকা খাওয়া এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাকি দেশের তুলনায় অনেক উন্নত। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল জানিয়েছে ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা নিয়ে তারা কোন ঝুঁকি নিতে রাজি ছিল না।