১৩ বছর আগে এই লর্ডসেই টেস্ট কেরিয়ারের প্রথম উইকেট নিয়েছিলেন স্টিভ স্মিথ। লর্ডসের দ্বিতীয় দিনের খেলার শেষ ওভার বোলিং করলেন তিনিই। দিনের নায়কও স্মিথ। টেস্ট কেরিয়ারের ৩২ তম সেঞ্চুরি করেছেন এ দিন। তারপর অনবদ্য একটা ক্যাচে ফিরিয়েছেন বিধ্বংসী ফর্মে থাকা ইংল্যান্ডের জো রুটকে। এক ওভার বল করে উইকেট না পেলেও তাঁর শতরানেই ভালো জায়গায় অজিরা। তবে অস্ট্রেলিয়ার লোয়ার অর্ডার হতাশ করল প্রথম ইনিংসে। স্টিভ স্মিথ-অ্যালেক্স ক্যারি জুটি ৩৩৯-৫ স্কোরে দিনের খেলা শুরু করেছিল। স্মিথ সেঞ্চুরি করলেও অস্ট্রেলিয়া শেষ ৫ উইকেটে মাত্র ৭৬ রান যোগ করে। প্রথম ইনিংস শেষ হয় ৪১৬ রানে। লোয়ার অর্ডার ভরসা দিতে পারলে ৪৫০-র ঘরে পৌঁছনো সম্ভব ছিল। ওলি রবিনসন ও জশ টং ইনিংসে তিনটি করে উইকেট নেন। ইংল্যান্ড শুরু থেকেই পরিচিত বাজবলে মন দেয়। জ্যাক ক্রলি ৪৮ বলে ৪৮ রানে ফেরেন। আর এক ওপেনার বেন ডাকেট শুরুতে সাবধানী হলেও ক্রমশ গিয়ার বদলান। অল্পের জন্য শতরান হাতছাড়া হয় তাঁর। জশ হ্যাজলউডের শর্ট পিচে পুল শট, ফাইন লেগে ওয়ার্নারের হাতে। ৯৮ রানে ফেরেন ডাকেট। এজবাস্টনে শতরান করেছিলেন জো রুট। এই ম্যাচে স্টার্ক-স্মিথ জুটিতে মাত্র ১০ রানেই ইতি রুটের। ফরোয়ার্ড ড্রাইভে দারুণ ক্যাচ স্মিথের। যদিও এই ক্যাচ নিয়ে ‘বিতর্ক’ও তৈরি করছেন ইংল্যান্ড সমর্থকরা। ১০ রানে ফিরলেও নতুন মাইলফলকে রুট। টেস্টে সবচেয়ে বেশি রানের নিরিখে অ্যালান বর্ডারকে ছাপিয়ে তালিকায় প্রথম দশে ঢুকে পড়লেন জো রুট। ইংল্যান্ডকে হয়তো আরও চাপে রাখতে পারত অজিরা। স্কোয়ারলেগে হ্যারি ব্রুকের ক্যাচ ফস্কান মার্নাস লাবুশেন। ব্রুকের জোরালো শট হাতে জমাতে পারেননি। সে সময় ২৫ রানে ক্রিজে ছিলেন হ্যারি। ৪৫ রানে অপরাজিত থেকে দিনের খেলা শেষ করলেন ব্রুক। সঙ্গে অধিনায়ক বেন স্টোকস (৫৭ বলে ১৭ রান)। ৪ উইকেটে ২৭৮ রানে দিনের খেলা শেষ করে ইংল্যান্ড। এখনও তারা পিছিয়ে ১৩৮ রানে। অজি শিবিরে অস্বস্তি নাথান লিয়ঁর চোট। প্রথম ইনিংসে তিনি আর বোলিং করবেন কিনা নিশ্চিত নয়।