বুবুন মুখোপাধ্যায়, আসানসোল: গোরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal) বর্তমানে বিচার বিভাগীয় হেপাজতে আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারে রয়েছেন। জেল থেকে তাঁকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার সময় ভিড়ের কারণে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। আসানসোল জেলের সুপারিন্টেন্ডেন্ট কৃপাময় নন্দী বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীকে একটি চিঠি লিখেছেন, যেখানে অনুব্রত মণ্ডলকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে আদালতের শুনানি প্রক্রিয়ায় হাজির করার আবেদন করা হয়েছে। যদিও পরবর্তী শুনানিতে অনুব্রতকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়াল শুনানির ব্যবস্থা করার বিষয়টি এখনো বিবেচনাধীন রয়েছে। গত ২৪ অগস্ট থেকে অনুব্রতকে ১৪ দিনের জেলে রাখার নির্দেশ দিয়েছে বিশেষ সিবিআই আদালত। অনুব্রত বর্তমানে আসানসোল সংশোধনাগারে রয়েছেন। ১৪ দিন জেলে থাকার পর ৭ সেপ্টেম্বর তাঁকে আবার আদালতে হাজির করার দিন। এর আগেই শুক্রবার আসানসোলের সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারককে চিঠি দেন জেল সুপার। চিঠিতে তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার অনুব্রতকে যখন জেল থেকে বের করে বিধাননগরে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন তাঁকে ঘিরে ছিলেন মিডিয়া প্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষ। এতে জেল কর্তৃপক্ষকে যেমন অনেক সমস্যায় পড়তে হয়, তেমনি অন্যান্য বন্দিদের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। নিরাপত্তার কারণে ৭ সেপ্টেম্বর ভার্চুয়াল মাধ্যমে তাঁর আবেদনের ওপর শুনানির ব্যবস্থা করার অনুরোধ করেন তিনি। উল্লেখযোগ্যভাবে, অনুব্রতকে একটি পুরনো মামলায় বৃহস্পতিবার কলকাতায় সাংসদ ও বিধায়কদের বিশেষ আদালতে হাজির করা হয়েছিল। সূত্রের খবর, আসানসোল সংশোধন কেন্দ্র থেকে তাঁকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া এবং শুনানির পর ফেরত আনতে জেল কর্তৃপক্ষকে অনেক অসুবিধায় পড়তে হয়েছিল। আদালত চত্বরে বিপুল ভিড়ের মধ্যে অনুব্রতকে রক্ষা করতে হিমশিম খেতে হয় নিরাপত্তারক্ষীদের। কেউ কেউ ‘গোরু চোর’ স্লোগান তুলে তৃণমূল নেতাকে কটাক্ষও করেন। এই অবস্থার কথা মাথায় রেখে জেল সুপার বিচারকের কাছে এই আবেদন করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। শনিবার সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, জেল সুপারের আবেদনটি জেলা জজের কাছে পাঠানো হয়েছে। কেননা সিবিআই আদালতে ভার্চুয়াল শুনানির কোনও ব্যবস্থা নেই। এই ব্যবস্থা আছে সিবিআই আদালতের পাশে ভিডিও কনফারেন্স রুমে। জেলা জজ সুনির্মল দত্তের অনুমতি মিললেই ভার্চুয়াল শুনানি হবে।