আসানসোল শহরের প্রাণকেন্দ্র ভগৎ সিং মোড়ের কাছের একটি হোটেলে শ্যুট আউটের ঘটনার তদন্তভার নিল সিআইডি। তদন্তভার নেওয়ার পরই ভবানীভবন থেকে সিআইডি-র ৬ জনের একটি দল আসানসোলে পৌঁছায়। হোটেলে গিয়ে গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা।
শুক্রবার সন্ধে আটটা নাগাদ পুলিশ লাইনের কাছে হোটেলে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় দুই বন্দুকবাজ। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ লাইনের কিছুটা দূরেই একটি হোটেল আছে। সেই হোটেলেই ঘটে শ্যুটআউটের ঘটনা। তবে এদিন বন্দুকবাজদের লক্ষ্যই ছিল হোটেল মালিক অরবিন্দ ভগৎ। এরপরই গুলিবিদ্ধ অরবিন্দ ভগৎ-কে দ্রুত দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এদিকে হোটেলে লাগানো সিসিটিভি-র ক্যামেরায় ধরা পড়েছে গুলি চালানোর এই পুরো ঘটনা। সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখা গিয়েছে, যখন এই ঘটনা ঘটে তখন হোটেলের লবিতে বসে অন্যান্যদের সঙ্গে কথা বলছিলেন অরবিন্দ। এই ঘটনার তদন্তে নেমে সিআইডি-র আধিকারিকরা হোটেলের অন্যান্যদের সঙ্গে কথা বলেন। এমনকি সেই মুহূর্তের ওই দুই প্রত্যক্ষদর্শীর সঙ্গেও কথা বলেন তাঁরা।তবে এই ঘটনার পর একটা দিন পার হয়ে গেলেও এখনও অধরা ওই দু’জন। এদিকে আসানসোল পুলিশ কমিশনারেটের সন্দেহ, রাজ্যের বর্ডার এলাকা পেরিয়ে ভিনরাজ্যে পালিয়ে যেতে পারে দুষ্কৃতীরা। কারণ, ঘটনাস্থল থেকে ঝাড়খণ্ড সীমান্ত খুব একটা দূরে নয়। এদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, দুষ্কৃতীদের খুঁজতে নাকা চেকিং শুরু করেছে পুলিশ। ঝাড়খণ্ড সীমানায় রয়েছে পুলিশের বিশাল বাহিনী। প্রতিটি গাড়ি, লরি, ট্রাক এমনকি বাইকও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিকে সিআইডি সূত্রে খবর, আলাদা করে কথা বলা হয় যে, সেই সময়ে হোটেলে উপস্থিত নিরাপত্তারক্ষীর সঙ্গেও। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ব্যক্তিগত শত্রুতা থেকেই এই ঘটনা ঘটেছে। তবে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এই শ্যুট আউটের ঘটনার পিছনে অন্য কেউ রয়েছে বলেও সন্দেহ পুলিশের। এদিকে স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত হোটেল মালিক দুর্গাপুরে জমি-জমা সংক্রান্ত বেশ কিছু ব্যবসার সঙ্গেও জড়িয়ে ছিলেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে খবর। সেই বিষয়েও খোঁজ খবর চালাবে সিআইডি-র এই বিশেষ দল, সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। এরই পাশাপাশি সিআইডি-র তরফ থেকে এও জানানো হয় যে, আশেপাশের এলাকার সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ স্ক্যান করে দেখা হচ্ছে যে ওই দুই বন্দুকবাজ কোনদিকে পালিয়ে গিয়ে থাকতে পারে। এদিকে আসানসোল কমিশনারেট সূত্রে খবর, সিআইডি ও পুলিশ সমান্তরালভাবে এই ঘটনার তদন্ত চালিয়ে যাবে।