আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের একমাত্র থানায় মহা সমারোহে দুর্গাপুজো

নিজস্ব প্রতিবেদন, আসানসোল: সচরাচর পশ্চিমবঙ্গের প্রায় প্রত্যেকটি থানাতে কালীপুজোর আয়োজন করা হয়। কিন্তু আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের একটি থানা ব্যতিক্রমী, এখানে কালীপুজোর সঙ্গে নিষ্ঠা ও ভক্তির সহকারে দুর্গাপূজারও আয়োজন করা হয়। কুলটি থানার অন্তর্গত বরাকর ফাঁড়িতে প্রতিবছর দুর্গাপুজোর আয়োজন করা হয়। এই বছরও তাঁর ব্যতিক্রম নয়। থানা চত্বরেই রয়েছে পাশাপাশি কালী ও দুর্গা মন্দির।
থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, এই পুজো দীর্ঘদিন ধরে হয়ে আসছে। কিন্তু যেহেতু সব পুলিশ কর্মীরই বদলির চাকরি তাই ঠিক কত বছর ধরে এই পুজো হচ্ছে সেটা তাদের জানা নেই। থানার কালী মন্দিরে কালীর পাথরের প্রতিমার সঙ্গে দুর্গা মন্দিরে দুর্গা ঠাকুরের ছোট একটি পিতলের মূর্তি আছে। এই দুই মন্দিরেই নিত্য পুজো করা হয়। কিন্তু দুর্গাপূজার সময় মাটির দুর্গা প্রতিমা নিয়ে এসে পুজো করা হয়।
পুজো চারদিন থানার মেসের খাবার বন্ধ থাকে। বাইরে থেকে ক্যাটারার এসে এই চারদিন রান্নার আয়োজন করে। ইতিমধ্যেই চার দিনের খাবার মেনু তৈরি করে ক্যাটারারকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। সপ্তমীর দিন অন্যান্য খাবারের সঙ্গে থাকবে মাছ, অষ্টমীর দিন সম্পূর্ণ নিরামিষ এবং নবমী ও দশমীতে বিভিন্ন পদের সঙ্গে থাকবে মাংস। এই পুজোটি এই থানার কর্মীরা ব্যক্তিগত অনুদান দিয়ে আয়োজন করেন। পুজোর চারদিন এই থানার পুলিশ কর্মীরা নিজের নিজের ডিউটি সেরে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মণ্ডপে হাজির হন।
থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক অরিন্দম মণ্ডল জানান, পুজোর চার দিন এই থানার পুলিশ কর্মীরা ছাড়াও ট্র্যাফিক ডিপার্টমেন্ট ও পার্শ্ববর্তী থানার পুলিশ কর্মী ও আধিকারিকরাও আসেন। এক পুলিশ কর্মী জানান, উৎসবের মরশুমে সাধারণ জনগণের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করার প্রয়োজনে তাঁরা তাঁদের নিজের পরিবারের কাছে যেতে পারেন না। ফলে মনটা একটু খারাপ হয়, কিন্তু থানার এই পুজো সেই মন খারাপের কথা ভুলিয়ে তাঁদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করার কর্তব্য পালনে আরও উৎসাহিত করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

20 − seventeen =