নিজস্ব প্রতিবেদন, কাঁকসা: শনিবার সকাল থেকে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোটগ্রহণ শুরু হলেও বেলা যত বাড়তে থাকে, ততই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কাঁকসার বিভিন্ন এলাকা। গ্রামবাসীদের দাবি, ভোট লুঠ করতে এসে তাঁদের প্রতিরোধের মুখে পড়ে বহিরাগতরা। উত্তেজিত জনতা ভাঙচুর চালায় তিনটি বাইকে। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় দু’টি বাইকে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় কাঁকসার আমলাজোড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বাবনাবেরা গ্রামের ৪৭১ নম্বর বুথে। স্থানীয়দের অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুÜৃñতীরা বাইকে করে এলাকায় আসে বুথ দখল করতে। জনতার তাড়া খেয়ে দুÜৃñতীরা বেশ কয়েকটি বাইক ফেলে ছুটে পালায়। উত্তেজিত জনতাকে সমর্থন করে স্থানীয় সিপিএম নেতৃত্ব। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতির সামাল দেয়।
অপর দিকে, কাঁকসার শেরপুরে ৫৬ নম্বর বুথে তৃণমূল আশ্রিত দুÜৃñতীদের বিরুদ্ধে বুথ দখলের অভিযোগ তুলে ব্যালট বক্স জলে ফেলার অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে কাঁকসা থানার পুলিশ পৌঁছে জল থেকে ব্যালট বক্সগুলি উদ্ধার করে। বেশ কিছুক্ষণ ধরে ভোটগ্রহণ বন্ধ থাকার পর পুনরায় তা শুরু হয়। এছাড়াও শনিবার সকালে ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার সময় তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ তোলে সিপিএম। সিপিএম কর্মীরা বাধা দিলে, তাঁদের মারধর করে বলে অভিযোগ। আহত হন সিপিএমের এক কর্মী।
পাশাপাশি এদিন দুপুর তিনটে নাগাদ কাঁকসার শোকনা গ্রামে তৃণমূল কর্মীকে মারধরের অভিযোগ ওঠে সিপিএমের বিরুদ্ধে। ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ, সিপিএম কর্মীরা বুথ দখল করে নেন ও তৃণমূলের পোলিং এজেন্টদের মারধর করে বুথ থেকে বের করে দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে কাঁকসা থানার পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
বিজেপির কাঁকসা দু’ নম্বর মণ্ডলের সভাপতি ইন্দ্রজিৎ ঢালির অভিযোগ, দিদির উন্নয়ন বাহিনীর দ্বারা বুথ দখল ও ছাপ্পা ভোটের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ ভাবেই কাঁকসায় ভোট হয়। গোটা কাঁকসা ব্লকেই শাসকদল বুথ দখল করে বলে দাবি তাঁর। অভিযোগ, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বহিরাগতদের দিয়ে বুথ দখল হলেও, এবার স্থানীয় গুণ্ডাদের দিয়েই বুথ দখল হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের মনোনীত জেলা পরিষদের প্রার্থী বৈশাখী ব¨্যােপাধ্যায় জানান, বিজেপির কাজ হল অভিযোগ করা। বিজেপি মিথ্যা অভিযোগ করছে। সমস্ত জায়গায় শান্তিপূর্ণ ভাবেই ভোট হয়েছে। কোথাও কোনও সমস্যা নেই। স্পর্শকাতর বুথগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে। বাকি সমস্ত বুথেই রাজ্য পুলিশ মোতায়েন ছিল। শান্তিপূর্ণ ভোট হলেও, বিজেপি বেশ কিছু এলকায় অশান্তি সৃষ্টি করেছে।