তাপমাত্রার পারদ নিম্নমুখী হতেই ফিরেছে স্বস্তি। দাবদাহের হাত থেকে মুক্তি পয়েছে রাজ্যবাসী। এবার সেই কারণেই ফের খুলতে চলেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এদিকে অস্বাভাবিক তাপপ্রবাহের পরিস্থিতিতে গত সপ্তাহে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। শুধু সরকারি নয়, বেরসকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকেও বন্ধ রাখার অনুরোধ জানান তিনি। এরপরই শিক্ষা দপ্তরের তরফ থেকে জারি করা হয় এক নির্দেশিকা। এদিকে গরমের ছুটিও অনেকটাই এগিয়ে আনার কথা প্রশাসনের তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে অনেক আগেই। তাই মুখ্যমন্ত্রীর এই কথা শুনে অনেকেই মনে করে নিয়েছিলেন যে রাজ্য জুড়ে বোধহয় শুরু হয়েই গেল গরমের ছুটি। তবে শিক্ষা দপ্তরের তরফ থেকে যে নির্দেশিকা জারি করা হয় তাতে স্পষ্টই বলা হয়েছিল দাবদাহের জেরে এক সপ্তাহ বন্ধ রাখা হচ্ছে স্কুল। পরে পরিস্থিতি অনুসারে এই সিদ্ধান্ত খতিয়ে দেখা হবে। যদিও ছুটি থাকলেও গত সপ্তাহে ছাত্রছাত্রীদের অনলাইন ক্লাস করতেও দেখা গেছে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই। সেক্ষেত্রে কাল থেকেই পড়ুয়ারা ফের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ক্লাস করতে পারবেন। এদিকে শনিবার থেকে নিম্নমুখী পারদ। ফলে আপাতত আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার প্রশ্ন ওঠে না। তাই সোমবার থেকেই খুলে যাচ্ছে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
তবে গ্রীষ্মের দাবদাহে এক ভয়ঙ্কর অবস্থা তৈরি হয়েছিল গোটা রাজ্যে। তাপমাত্রা পেরিয়ে গিয়েছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কোঠাও। তাই জরুরি ভিত্তিতে পড়ুয়াদের কথা ভেবেই তড়িখড়ি সমস্ত সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এক সপ্তাহ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এদিকে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, নতুন করে উত্তর এবং দক্ষিণের কোন জেলাতেই তাপপ্রবাহের সতর্কতা নেই। বরং, ঘূর্ণাবর্ত সৃষ্টি হওয়ার ফলে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় আগামী ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। রবিবার সকাল থেকেও গোটা দক্ষিণবঙ্গেরই আকাশ মেঘলা। কিছু কিছু জায়গায় হালকা বৃষ্টির দেখাও মিলেছে। সেক্ষেত্রে আগামী মঙ্গলবারের পর থেকে বৃষ্টি কমলেও ফের অস্বাভাবিক গরম পড়ার তেমন সম্ভাবনা কম। তাই আবহাওয়ার পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অস্থায়ী ছুটি বাড়ানো হচ্ছে না। ।
প্রসঙ্গত, এবছর গরমের তীব্রতা বিচার করে আগামী ২৪ মে-র পরিবর্তে ২ মে থেকে রাজ্যের স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি পড়বে বলে জানিয়েছে শিক্ষা দপ্তর। এদিকে তাপমাত্রার গ্রাফ নিম্নমুখী হওয়ায় নির্ধারিত গরমের ছুটির দিনক্ষণের কোনো পরিবর্তন করা হবে কিনা, সে বিষয়ে এখনও কোনও তথ্য জানানো হয়নি শিক্ষা দপ্তর থেকে।