নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঁকুড়া: বর্ষার মরসুম শুরু হতে না হতেই ডেঙ্গির থাবা। প্রাক্ বর্ষার মরশুমেই এক ডেঙ্গি আক্রান্তের সন্ধান মিলল বাঁকুড়া শহরে। শহরের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ওই ব্যক্তি বর্তমানে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
প্রসঙ্গত, গত বছর এই এলাকায় প্রায় ৩০০ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত হন। চলতি বছরে একজন ডেঙ্গি আক্রান্ত হওয়ার খবরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। খবর পেয়েই শনিবার সকালে কেঠারডাঙা এলাকায় যান পুরপ্রধান অলকা সেন মজুমদারের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের এক প্রতিনিধি দল। জন সচেতনতামূলক প্রচারের পাশাপাশি জল জমতে পারে এরকম বেশ কিছু টায়ার বাজেয়াপ্ত করে বাঁকুড়া পুরসভা।
স্থানীয়দের একাংশের দাবি, ‘নিয়মিত নিকাশি নালা পরিষ্কার না হওয়াতেই মশার উপদ্রব বাড়ছে। আমরা আতঙ্কিত। গত বছরের পরিস্থিতি যাতে এবার না হয়।’ তার জন্য আগাম প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তাঁরা। স্বাস্থ্য দপ্তরের এক আধিকারিক প্রীতম ভট্টাচার্য বলেন, ‘এই এলাকাটি ‘হাই রিস্ক জোন’ হিসেবে চিহ্নিত। প্রতি মাসে পরিদর্শন করা হয়। মূলত জমা জলের কারণেই মশার উপদ্রব বাড়ছে।’ এই এলাকা থেকে এবছর এখনও পর্যন্ত এক জন ডেঙ্গি আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে বলে তিনি জানান।
বাঁকুড়া পুরসভার পুরপ্রধান অলকা সেন মজুমদার জানান, বিষয়টি নিয়ে তাঁরা যথেষ্ট সচেতন। বছরভর স্বাস্থ্য কর্মীরা এই এলাকার ওপর বিশেষ নজর রাখেন। পেটের ব্যথা নিয়ে একজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, তাঁর অ্যাপেনডিক্সের পাশাপাশি রক্ত পরীক্ষায় ডেঙ্গির সন্ধান মিলেছে বলে তিনি জানান।