ব্যারাকপুর : বাংলার শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো একেবারে দোরগোড়ায়। কিন্তু অসুরের ভূমিকায় একনাগাড়ে বৃষ্টি। নিম্নচাপ কিংবা টানা বৃষ্টির জেরে মাথায় হাত মণ্ডপ শিল্পী ও পুজো উদ্যোক্তাদের। তবুও রোদ-বৃষ্টির লুকোচুরি খেলার মধ্য দিয়ে শিল্পীরা একটু একটু করে কাজ এগোচ্ছেন। শক্তিমায়ের অন্যতম পীঠস্থান উত্তর শহরতলির এই শ্যামনগর। থিম ভাবনায় এখানে একে অপরকে টেক্কা দেওয়ার প্রতিযোগিতাও চলে। শ্যামনগর নতুনপল্লি সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির ৭৫ তম বর্ষের থিম দিল্লির লালকেল্লা। পাশাপাশি ইসরো-র বিজ্ঞানীদের সম্মান জানিয়ে এখানে এবারের বিশেষ আকর্ষণ চন্দ্রযান-৩। পুজো কমিটির কর্নধার সোমনাথ তালুকদার বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মণ্ডপ তৈরিতে সমস্যার সৃষ্টি করছে। ক্লাব ঘরের মধ্যে শিল্পীরা নকশার কাজ করছেন। সোমনাথবাবুর আশা, দুর্যোগ কাটিয়ে ঠিকসময়ে মণ্ডপ তৈরির কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে। শ্যামনগর মাতৃপল্লি মুক্তি সংঘের পুজো এবারে ৭ বছরে পড়েছে। বাংলার কুটিরশিল্পের আদলে এখানে মণ্ডপ সাজানোর কাজ চলছে। বেতের ঝুড়ি থেকে শুরু করে কুলো, বেড়া স্থান পাবে মণ্ডপ সজ্জায়। থিম মেকার তথা পুজো কমিটির সম্পাদক অভিষেক পাল বলেন, ‘টানা বৃষ্টির জেরে মণ্ডপের বাইরের নকশার কাজ পুরো থমকে গিয়েছে। কমিউনিটি সেন্টারে মণ্ডপসজ্জার বেতের নকশার কাজ চলছে।’ শ্যামনগর গুড়দহ আমরা সবাই পুজো কমিটির অষ্টম বর্ষের থিম বদ্রীনাথ। এখানকার শিল্পী শিবু সরকার বলেন, ‘বাঁশ, বাটাম, ফোম ও প্লাই প্রভৃতি উপকরণ মণ্ডপ সজ্জায় ব্যবহার করা হচ্ছে। ৮০ শতাংশ কাজ এগিয়ে গেছে। কিন্তু টানা বৃষ্টির কারণে তাঁরা ঠিকমতো কাজ করতে পারছেন না।’ শিবুবাবুর আশা, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই মণ্ডপ সাজিয়ে তুলবেন।