আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়
আদ্রার রেল ইয়ার্ডে গুলি কাণ্ডের তদন্তে নেমে দুই জনকে গ্রেপ্তার করল পুরুলিয়ার আদ্রা থানার পুলিশ। ধৃতরা হল রাঁচির বাসিন্দা বিনয় সিং ওরফে বিট্টু নেপালী ও কলকাতার দমদমের বাসিন্দা রোশন ঠাকুর। এদের মধ্যে বিনয় রেল ইয়ার্ডে এসে গুলি চালিয়েছিল বলে জানাচ্ছে পুলিশ। আর রোশন রেলের ছাঁট লোহার ব্যবসায়ী। সেও ওই ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত। পুলিশের দাবি, রোশনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছিল। তারপরে তাকে শনিবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়। আর বিনয়কে আদ্রা থানার পুলিশের একটি দল শনিবার গভীর রাতে রাঁচি থেকে গ্রেপ্তার করেছে। রবিবার দু’জনকে রঘুনাথপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক দুই জনকেই ১০ দিনের পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, পুরুলিয়ার রেলশহর আদ্রার রেলের ঝরিয়াডী ইয়ার্ডের রেললাইনে কর্মরত অবস্থায় দুই শ্রমিককের উপর গুলি চালানোর ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল পুরুলিয়া জেলাজুড়ে। এদিন রেল লাইনে থাকা একটি মালগাড়ি কাটাইয়ের কাজ করছিলেন বেশ কিছুজন শ্রমিক। সেখানে হঠাৎ একটি মোটর সাইকেলের মধ্যে মুখে কাপড় বাঁধা অবস্থায় দুই ব্যক্তি এসে প্রথমে ঠিকাদারের খোঁজ করে তাকে না পেয়ে একটি হুমকি চিঠি তুলে দেয় মালগাড়ির পরিত্যক্ত কামরার লোহা কাটার কাজে ব্যস্ত শ্রমিকদের হাতে। এরপর কর্মরত সেই শ্রমিকদের লক্ষ্য করে পর পর ৯ রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। ঘটনার পরেই ওইদিন গুলিবিদ্ধ রক্তাক্ত অবস্থায় সেইসব শ্রমিকদের রঘুনাথপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আহতরা ছিলেন অনিল কুমার সাও (৪৫) বাড়ি বোকারোতে। তার বা পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছিল। এবং অপর কর্মচারীর নাম তারক দত্ত (৩৫ ) তার বাড়ি অন্ডালে।
ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুরুলিয়া জেলা পুলিশ সুপার এস সেলভা মুরুগান সহ রঘুনাথপুর মহকুমার এস ডি পি ও অজয় গণপতি, আদ্রা থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক পার্থপ্রতিম রায়, কাশীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক অমিত সামন্ত সহ আদ্রা থানার পুলিশ আধিকারিকরা পৌঁছে বিভিন্ন সূত্র মারফত শুরু করে তদন্ত। আর তাতেই এদিন সাফল্য মেলে পুলিশের।