নিজস্ব প্রতিবেদন, কলকাতা: দু’দিনের ইডি হেপাজত পার করে শুক্রবার ফের আদালতে তোলা হয় অর্পিতা মুখোপাধ্যায় ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। ব্যাঙ্কশাল আদালতে শুনানি চলাকালীন আইনজীবী জানান, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের জীবন সংশয় রয়েছে। সে কারণে অর্পিতাকে প্রথম শ্রেণির বন্দির মর্যাদা দেওয়া হোক। একইসঙ্গে তিনি আর্জি জানান, অর্পিতাকে যে খাবার ও জল দেওয়া হবে, তা যেন পরীক্ষা করে দেওয়া হয়। একইসঙ্গে তিনি অর্পিতার নিরাপত্তা বাড়ানোর আবেদনও জানান। একই কথা মনে করনে ইডির আইনজীবীও।
কিন্তু কেন অর্পিতার জীবনের ঝুঁকি রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে? অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা নগদ পাওয়া গিয়েছে। সঙ্গে প্রচুর গয়নাও। যাঁর মূল্য কয়েক কোটি টাকা বলেই জানা গিয়েছে। এর ফলে মানুষের মধ্যে একটা আক্রোশ তৈরির সম্ভাবনা থেকে যেতেই পারে। সেক্ষেত্রে সংশোধনাগারে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মুখে পড়ার পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে অর্পিতার ক্ষেত্রে। সে কারণেই অর্পিতাকে সংশোধনাগারে পাঠানো হলে তাঁর নিরাপত্তা বাড়ানোর আর্জি জানানো হয় বলেই সূত্রের খবর।
যদিও এদিন বিকেলেই ব্যাঙ্কশাল আদালত নির্দেশ দেয়, পার্থ-অর্পিতা আপাতত জেল হেপাজতে থাকবেন। আগামী ১৪ দিন অর্পিতার ঠিকানা হবে আলিপুর মহিলা সংশোধনাগার। পার্থ থাকবেন প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে। কারা দফতর সূত্রে খবর, বাকি বন্দিদের মতোই সুযোগ সুবিধা পাবেন এই দু’জনও। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী সমস্ত বন্দোবস্ত করা হবে। আলাদা কোনও ‘খাতিরের’ প্রশ্ন নেই, এমনও ইঙ্গিত মিলেছে কারা দপ্তর সূত্রে।
অর্পিতার আইনজীবী এদিন আদালতে আর্জি জানালেও, বিচারক অর্পিতার খাবার বা জল পরীক্ষা করে দেওয়ার কোনও নির্দেশ দেননি। সরাসরি আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারের যিনি সুপারিনটেনডেন্ট তাঁকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, অর্পিতার ‘সেফটি সিকিওরিটি’র দিকে আলাদা নজর দিতে হবে। সেই মতো নির্দিষ্ট সময় অন্তর আদালতের কাছে রিপোর্ট যাবে ও ইডির আধিকারিকরাও নির্দিষ্ট সময়ে গিয়ে জেরা করতে পারবেন। প্রসঙ্গত, অর্পিতার খাবার বা জল পরীক্ষার বিষয়টি শুধুমাত্র তাঁর আইনজীবীর আর্জি ছিল এমনই নয়, ইডির তরফেও অর্পিতার প্রাণ সংশয়ের বিষয়টি তুলে ধরা হয় আদালতে।