রিয়েল এস্টেট-ও বিনিয়োগ অর্পিতার? ছোট্ট সূত্রেই সন্দেহ বাড়ছে ইডির

কলকাতা: ‘এআরপি’, এই তিনটি অক্ষর। তা থেকেই ইডির মনে প্রশ্ন, বিনোদন সংস্থার পাশাপাশি রিয়েল এস্টেট সংস্থাতেও কি টাকা ঢেলেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়?  দক্ষিণ কলকাতার একটি রিয়েল এস্টেট সংস্থা নিয়ে তদন্তকারীদের মনে সন্দেহ দানা বেঁধেছে। যদিও এই সংস্থার সঙ্গে সরাসরি পার্থ এবং অর্পিতার যোগসূত্র মেলেনি। তবে বেশ কিছু তথ্যপ্রমাণ তদন্তকারীদের হাতে এসেছে, যা থেকে এই সংস্থার অর্পিতার সূত্র পুরোপুরি উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না বলেই ইডির সূত্রে জানা গিয়েছে।

সূত্রের খবর, এই রিয়েল এস্টেট সংস্থার মেল আইডিতে রয়েছে ‘এআরপি’। অর্পিতা যে সব সংস্থার ডিরেক্টর পদে রয়েছেন, সেখানেও এ ধরনের মেল আইডি ব্যবহার করা হয়েছে। রিয়েল এস্টেট সংস্থার ডিরেক্টর পদে যিনি রয়েছেন, তাঁর সঙ্গেও যোগাযোগ রয়েছে অর্পিতার। বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটের ঠিকানা ব্যবহার করে যে সংস্থা তৈরি হয়েছিল, তার সঙ্গে এই রিয়েল এস্টেট সংস্থার ডিরেক্টরের যোগ রয়েছে। দক্ষিণ কলকাতার একটি ফ্ল্যাটে রয়েছে ওই রিয়েল এস্টেট সংস্থার দপ্তর। সেই ফ্ল্যাটের কেয়ারটেকারের দাবি, ২০১৩-১৪ সাল নাগাদ পার্থ চট্টোপাধ্যায় এসেছিলেন এই ফ্ল্যাটে। তাঁর সঙ্গে কথাও মাইনে নিয়ে কথাও হয়েছিল। অর্পিতাও কয়েক বার ফ্ল্যাটে এসেছিলেন। ফ্ল্যাটের ঘর সাজানোর সময় এসেছিলেন তিনি।

কেয়ারটেকারের সূত্রেই জানা গিয়েছে, এই ফ্ল্যাটবাড়ির প্রথম দুই তলায় এখন থাকে অন্য পরিবার। তিন তলার ফ্ল্যাট বন্ধ থাকে। কিছু দিন আগে এখানে ইডিও হানা দেয়।টালিগঞ্জ ও বেলঘরিয়ার দু’টি আবাসনে অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। তার পর কলকাতায় অর্পিতার নামে আরও কয়েকটি ফ্ল্যাটের হদিস মেলে। রাজডাঙায় অর্পিতার মালিকানাধীন সংস্থা ‘ইচ্ছে’ এন্টারটেনমেন্টেরও খোঁজ মিলেছে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twenty + nineteen =