শেষ ওভারে চমক অর্জুনের, ঘরের মাঠে মুম্বইয়ের কাছে হার হায়দরাবাদের

ক্যামেরন গ্রিনের অলরাউন্ড পারফরম্যান্স। জয়ের হ্যাটট্রিকও করল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে জোড়া হারে মরসুম শুরু করেছিল মুম্বই। ঘুরে দাঁড়িয়েছিল রোহিত শর্মার টিম। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ডেরায় ১৪ রানে জয় মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের। গত কয়েক দিন যেমন থ্রিলারের সিরিজ চলছিল, এই ম্যাচও যেন সে দিকেই মোড় নিতে পারত। অনবদ্য ফিল্ডিং করেছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। যদিও ব্যাটিংয়ে পাওয়ার হিটিং দেখা গেল না। ইডেন গার্ডেন্সে হ্যারি ব্রুকের শতরান এবং অধিনায়ক এইডেন মার্করামের বিধ্বংসী ইনিংস সানরাইজার্সের জয়ে অবদান রেখেছিল। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে অবশেষে রানে ফিরলেন মায়াঙ্ক আগরওয়াল। এ বারই প্রথম আইপিএল খেলছেন গ্রিন। মিনি অকশনে তাঁকে বিশাল দরে নিয়েছিল মুম্বই। সাফল্য আসছিল না। আইপিএলে প্রথম অর্ধশতরান করলেন গ্রিন। ৩৩ বলে অর্ধশতরান পূর্ণ করেন তিনি। শেষ অবধি ৪০ বলে ৬৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৯২ রান করে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। শুরুতেই বড় ধাক্কা খায় সানরাইজার্স। গত ম্যাচে শতরানকারী হ্যারি ব্রুক ফেরেন মাত্র ৯ রানে।  মায়াঙ্ক আগরওয়াল একদিক আগলে রাখলেও বড় জুটি হয়নি। ক্লাসেন ক্রিজে আসায় ম্যাচে ফিরেছিল সানরাইজার্স। মায়াঙ্ক ফেরেন ৪৮ রান করে। অনেক ক্ষেত্রেই মনে হয়েছিল সানরাইজার্স জিততেও পারে।  শেষ তিন ওভারে ৪৩ রান প্রয়োজন ছিল সানরাইজার্সের। শেষ ওভারে লক্ষ্য দাঁড়ায় ২০ রান। ম্যাচে প্রাণ আসে অর্জুন তেন্ডুলকরকে বোলিং দেওয়ায়। চাপের মুখে এই তরুণ পেসার কেমন পারফর্ম করে সেদিকেই নজর ছিল। দ্বিতীয় বলেই রান আউট সামাদ। ৪ বলে ১৯ রানের লক্ষ্য থাকলেও হাতে ছিল মাত্র ১ উইকেট। পঞ্চম বলে ভুবনেশ্বর কুমারের উইকেট নিয়ে সানরাইজার্সকে অলআউট করেন অর্জুন তেন্ডুলকর। পাওয়ার প্লে-তে ২ ওভারে দিয়েছিলেন মাত্র ১৪ রান। শেষ ওভারে ৫ বলে ৪ রান দিয়ে ভুবির উইকেট। আইপিএলে প্রথম উইকেট নিলেন সচিন-পুত্র।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nine − five =