কিংবদন্তি সচিন তেন্ডুলকরের পুত্র আর খেলতে চাইছেন না নিজের রাজ্য মুম্বইয়ের হয়ে! পড়শি রাজ্য গোয়ার হয়েই খেলতে চলেছেন বছর বাইশের বাঁ-হাতি জোরে বোলার। এমনটাই খবর। ইতিমধ্যেই অর্জুন নো অবজেকশন সার্টিফিকেট ওরফে এনওসি-র জন্য আবেদন জমা দিয়েছেন মুম্বইকে। ২০২০-২১ মরশুমে অর্জুন মুম্বইয়ের হয়ে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে মাত্র দু’টি ম্যাচ খেলেছিলেন। হরিয়ানা ও পদুচেরির বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছিলেন অর্জুন।
এসআরটি স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ‘মাঠে সর্বাধিক গেমটাইম পাওয়াই অর্জুনের কেরিয়ারের জন্য এই মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা বিশ্বাস করি এই বদলে অর্জুনের আরও বেশি করে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে খেলার সম্ভাবনা বাড়বে।
অর্জুন ক্রিকেট কেরিয়ারের এক নতুন দিক শুরু করতে চলেছে।’জুনিয়র তেন্ডুলকর’ শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে অনূর্ধ্ব-১৯ টেস্ট খেলেছিলেন শেষবার। মুম্বইয়ের হয়ে সাদা বলে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলার সম্ভাবনা ছিল তাঁর। যদিও অর্জুন নিজেকে প্রমাণ করার সেরকম সুযোগ না পেয়েই দল থেকে বাদ পড়েছিলেন। অর্জুনকে যাঁরা কাছ থেকে দেখেছেন, তাঁরা মনে করেছেন যে, অর্জুনের কাজ করার প্রকৃতি যেরকম, তাতে করে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করার জন্য ধারাবাহিক ভাবে ম্যাচ খেলা প্রয়োজন। কিন্তু সেই সুযোগ অর্জুন পাননি। অর্জুন মুম্বইয়ের ডেভলপমেন্ট স্কোয়াডের হয়ে ইংল্যান্ডে একাধিক টি-২০ ম্যাচ খেলেছেন। সেখানে কুমার কার্তিকেয়া, অমোলপ্রীত সিং, রমনদীপ সিং, ডেওয়াল্ড ব্রেভিসরাও খেলেছেন নিজেদের ক্লাবের হয়ে।
গোয়া ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুরজ লতিকর সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন অর্জুনের রাজ্য বদলের ব্যাপারে। তিনি বলেছেন,’আমরা বাঁ-হাতি বোলিং প্রতিভার খোঁজে আছি। যারা মিডল অর্ডারে একাধিক দক্ষতার পরিচয় দিতে পারবে। আমরা অর্জুনকে গোয়া দলের হয়ে খেলার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়ে ছিলাম। সাদা বলে প্রাক মরশুম ট্রায়াল ম্যাচের ব্যবস্থা করছি আমরা। এরপর নির্বাচকরা সিদ্ধান্ত নেবেন।’ এখন দেখার অর্জুন গোয়ার হয়ে ম্যাচ খেলার সুযোগ পান কিনা! আর নিজেকে প্রমাণ করতে পারেন কিনা! আরেক কিংবদন্তি সুনীল গাভাসকরের পুত্র রোহন গাভাসকরও চলে এসেছিলেন মুম্বই ছেড়ে বাংলায়। মাত্র ১৮ বছর বয়সে বাংলার হয়ে খেলেন রোহন। ১৯৯৬-২০০৯ পর্যন্ত খেলেছেন। একাধিকবার বাংলার অধিনায়কত্বও করেছেন তিনি। হাজার হাজার রানও করেছেন রোহন।