ব্যারাকপুর: অর্জুন সিং তৃণমূলে ফিরতে উৎসবের মেজাজে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল। রবিবার রাত থেকেই সাংসদ অর্জুন সিংকে শুভেচ্ছা জানাতে মজদুর ভবনে ভিড় জমে যায় অনুগামীদের। সোমবারও মজদুর ভবনেও এসেছিলেন তাঁর অনুগামীরা। আর তৃণমূলে ফিরেই সাংসদ তথা শ্রমিক নেতার হুঁশিয়ারি, ‘দলের নাম ভাঙিয়ে তোলাবাজি বরদাস্ত করা হবে না।’ আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে সাংসদের বক্তব্য, ‘মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলায় প্রচুর কাজ হয়েছে। মানুষ কাজের নিরিখে ভোট দেবে। এর জন্য হিংসার প্রয়োজন নেই।’ তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সময় চেয়েছি। উনি সময় দিলেই দেখা হবে।’ পুরনো দলে ফিরেই অবশ্য তিনি পদ্ম শিবিরের সমালোচনায় মুখর হয়েছেন। তাঁর কথায়, বাংলায় ভোটে জিততে মজবুত সংগঠনের প্রয়োজন। এসি ঘরে বসে ফেসবুকের মাধ্যমে সংগঠন করা যায় না। সংগঠন মজবুত করতে ময়দানে নামতে হয় ।
তৃণমূল ছেড়ে পদ্ম শিবিরে যোগ দিয়ে বিজেপির টিকিটে ২০১৯-এ লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন অর্জুন সিং। তৃণমূলে ফেরার আগেও ক্রমাগত পাটশিল্প নিয়ে তিনি কেন্দ্রীয় নীতির সমালোচনা করেছিলেন। রবিবারই দলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড অভিষেক ব¨্যােপাধ্যায়ের সামনে ফের তৃণমূলে ফেরেন তিনি। কিছুদিন আগে বিজেপির টিকিটে জেতা আর এক সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। যদিও তিনি সাংসদ পদে ইস্তফা দিয়ে দল বদলেছিলেন। ফলে, এখানেও প্রশ্ন ওঠে অর্জুন সিং কি বিজেপির সাংসদ পদ ত্যাগ করবেন? অর্জুন সিংয়ের দাবি, ‘এলাকার মানুষ তাঁকে সাংসদ বানিয়েছেন। পুনরায় শিল্পাঞ্চলের মানুষ তাঁকে সাংসদ করবেন। তিনি ভোটের জন্য প্রস্তুত আছেন।’ তবে সাংসদ পদ থেকে তিনি এখনই ইস্তফা দেবেন না। এ প্রসঙ্গে তিনি নাম না করে নিশানা করেছেন অধিকারী পরিবারকে। তিনি বলেন, ‘দু’জন সাংসদ আছেন যাঁরা তৃণমূল থেকে বিজেপিতে গিয়েছেন। ওঁরা যেদিন ইস্তফা দেবেন, সেদিন তিনিও সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেবেন।’
আগামী ৩০ মে শ্যামনগর অন্নপূর্ণা মিলের মাঠে বিশাল জনসভা হবে। সেখানে হাজির থাকবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে রেকর্ড সংখ্যক জমায়েত হবে আশাবাদী সাংসদ।