বিক্কি যাদব খুনের ঘটনায় পাপ্পু সিং গ্রেপ্তার হতেই সাংসদ অর্জুন সিং-কে ক্রমাগত নিশানা করে চলেছেন জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম। যদিও দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী বলার পর মুখে কুলুপ এঁটেছেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং।
সূত্রে খবর, শনিবার সন্ধেয় নৈহাটি উৎসবের মঞ্চে যোগ দেওয়ার আগে সাংসদ ও বিধায়ককে নিয়ে নৈহাটিতে বৈঠকে বসার কথা ছিল দলের রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সুব্রত বক্সীর। যদিও উক্ত বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম। নৈহাটি পুরসভায় ঘণ্টাখানেক অপেক্ষা করার পর অর্জুন সিং-কে সঙ্গে নিয়ে নৈহাটি উৎসবের মঞ্চে হাজির হন সুব্রত বক্সী। এদিকে রবিবার কাউগাছি-২ পঞ্চায়েতের শ্যামনগর বাসুদেবপুর ধানকল মোড়ে এক রক্তদান শিবিরে হাজির হয়ে সাংসদকে ফের নিশানা করেন জগদ্দলের বিধায়ক। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এদিন বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম বলেন, ওই বৈঠকের বিষয়ে তাঁর কাছে কোনও খবর ছিল না।
এমনকী ওই বৈঠকে যোগ দেওবার ব্যাপারে দলের তরফে কোনও নির্দেশও ছিল না। তবে তিনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবেন।* যদিও বৈঠক কিংবা বিধায়কের আক্রমণ নিয়ে এদিন কিছুই বলতে চাননি সাংসদ অর্জুন সিং। তার দাবি, দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী তাঁকে মুখ খুলতে নিষেধ করেছেন। সাংসদের কথায়, দলের একজন অনুগত সৈনিক হিসেবে তিনি কোনও প্রশ্নেরই উত্তর দেবেন না। যদিও সাংসদের সাফ জবাব, সমস্ত প্রশ্নের উত্তর সঠিক সময়ে দলই দিয়ে দেবে। সাংসদের কথায়, মমতাকে ব্যানার্জিকে দেখে বাংলায় ভোট হয়। সুতরাং মমতা ব্যানার্জির আশীর্বাদ যার ওপর থাকবে তিনি রাস্তায় থাকবেন। আর যার ওপর মমতা ব্যানার্জির আশীর্বাদ থাকবে না, তিনি বে-রাস্তা হয়ে যাবেন।