একই দিনে আর্জেন্টিনাকে দু-বার হারাল ব্রাজিল। প্রাথমিক ভাবে অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে। কিন্তু এমনটাই হয়েছে। যদিও সেটা ক্রিকেটে। এই অবধি পড়ে চোখ কপালেও উঠতে পারে! বিশ্বের আরও অনেক দেশই ক্রিকেট খেলে। লাতিন আমেরিকার দেশগুলিও অন্যথা নয়। যদিও বড় টুর্নামেন্টে খেলার মতো পরিকাঠামো কিংবা দক্ষতা এখনও গড়ে ওঠেনি। ফুটবলে ব্রাজিল বনাম আর্জেন্টিনা রোমহর্ষক ম্যাচ হয়ে থাকে। বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম আকর্ষণ ব্রাজিল বনাম আর্জেন্টিনা। কোনও টুর্নামেন্টের ফাইনালে এই দু-দল মুখোমুখি হলে তো কথাই নেই। স্বপ্নের ফাইনাল হয়। ক্রিকেটে! আর্জেন্টিনা মহিলা ক্রিকেট দলের ব্রাজিল সফর নিয়ে না হয় আরও একটু কথা বলা যাক। পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে এসেছে আর্জেন্টিনা মহিলা ক্রিকেট দল। প্রথম দিনই হল দুটি ম্যাচ। দুটিতেই বিশাল ব্যবধানে আর্জেন্টিনাকে হারাল ব্রাজিল। সিরিজে তারা এগিয়ে ২-০। প্রথম ম্যাচে প্রথম ব্যাট করে আর্জেন্টিনা। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ৭৪ রান করে আর্জেন্টিনা। ব্রাজিলের হয়ে লরা কারদোসো ৪ ওভারে মাত্র ১৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন। ইনিংসে দুটি রান আউট হয়েছে। ব্রাজিলের মারিও রিবেইরো কোনও উইকেট না পেলেও ২ ওভারে মাত্র ৩ রান দেন। আর্জেন্টিনা ইনিংসে মাত্র দু-জন ব্যাটার দু-অঙ্কের রানে পৌঁছতে পেরেছেন। লুসিয়া টেলর ২০ এবং ভেরোনিকা ভাসকেজ ১৮ রান করেন। বোর্ডে মাত্র ৭৫ রানের লক্ষ্য। ৯.৩ ওভারেই বিনা উইকেটে লক্ষ্যে পৌঁছয় ব্রাজিল। লিন্ডসে বোয়াস ৩৪ বলে ৪৪ এবং লরা অগাথা ২৫ বলে ২৫ রানে অপরাজিত থাকেন। দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ব্রাজিল। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৭ রানের বিশাল স্কোর গড়ে। লরা অগাথা ৪৪ বলে ৪৫ রান করেন। এ ছাড়াও ক্যাপ্টেন রবের্তা আভেরি ২৫ বলে ২৬ রান করেন। শেষ দিকে লরা কারদোসো মাত্র ১৭ বলে ২৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। ইনিংসে ১৩টি ওয়াইড বল হয়েছে। ১৪৮ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নামে আর্জেন্টিনা। ১৫.৪ ওভারে ৬২ রানেই আর্জেন্টিনাকে আলআউট করে ব্রাজিল। আর্জেন্টিনা ইনিংসে একমাত্র অ্যালিসন প্রিন্স (১৫*) দু-অঙ্কের রানে পৌঁছন। ব্রাজিলের ক্যারোলিনা নাসিমেন্তো ও লাইরা রিবেইরো ২টি করে উইকেট নেন। ১টি উইকেট লরা কারদোসোর। বাকি পাঁচটিই রানআউট। আর্জেন্টিনা ইনিংসে ১৪টি ওয়াইড বল হয়েছে। প্রথম ম্যাচে ১০ উইকেটের বিশাল জয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচে ৮৫ রানে জেতে ব্রাজিল।