মালদা: লোকসভা ভোটের মুখে প্রায় পাঁচ মিনিট ধরে মালদার এক বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যার সঙ্গে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি। আর প্রধানমন্ত্রীর ফোন পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন মালদার আদিবাসী অধ্যুষিত হবিবপুর ব্লকের বৈদ্যপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি দলের সদস্যা লতিকা হালদার। লোকসভা ভোটের মুখে তৃণমূলের অত্যাচারের শিকার হচ্ছেন না তো? এমনই কথা প্রধানমন্ত্রী দলেরই ওই পঞ্চায়েত সদস্যকে বলেন। আর তাতেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনে অংশ নেওয়া এবং বিজেপির প্রার্থীকে জয়ী করার কথা বলেছেন মালদার প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকার ওই পঞ্চায়েত সদস্যা।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বিজেপির একটি নির্বাচনী সভায় বৈদ্যপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি দলের ওই পঞ্চায়েত সদস্যার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনেন। আর তাতেই রাজনৈতিক স্তরে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন গ্রামের মহিলাকে প্রধানমন্ত্রী ফোন করে খোঁজ নিলেন তৃণমূল কোনো অত্যাচার করছে না তো? হিংসা ছড়াচ্ছে না তো?পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর ফোন পেয়ে আপ্লুত বিজেপি দলের ওই পঞ্চায়েত সদস্যা লতিকা হালদার বলেন, প্রধানমন্ত্রী তাঁকে ফোন করে জানতে চেয়েছেন কাজ কেমন চলছে। তৃণমূল হিংসা ছড়াচ্ছে কিনা। লতিকা প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন তিনি মহিলাদের একত্রিত করছেন তাই তৃণমূল সাহস পাচ্ছে না। পাশাপাশি দলের কার্যকর্তা হিসেবেও তিনি মহিলাদের সংগঠিত করার কাজ করে যাচ্ছেন। পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি আপ্লুত, গর্বিত যে প্রধানমন্ত্রী তাঁকে ফোন করেছেন। এদিন হবিবপুরের কেন্দপুকুরে নির্বাচনী সভায় উপস্থিত হন বিজেপির ওই গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য লতিকা হালদার। সেখানেই দলের জেলা নেতৃত্ব সামনেই প্রধানমন্ত্রীর ফোন প্রসঙ্গের বিষয়টি খোলসা করেন।
উত্তর মালদার বিজেপি দলের প্রার্থী তথা সাংসদ খগেন মুর্মু জানিয়েছেন, এটাই হল আমাদের প্রধানমন্ত্রী। দুর্গম গ্রামের একজন দলীয় সদস্যার কেমন আছেন তারও খোঁজ খবর যেমন রাখেন। তেমনি গ্রামের সাধারণ মানুষের সার্বিক উন্নয়নের ক্ষেত্রেও প্রধানমন্ত্রী যথাসাধ্য ভাবে কাজ করে চলেছেন।