মহেশ্বর চক্রবর্তী
বয়স মাত্র ২ বছর ৫ মাস, মুখে আধো আধো কথা। আর তাতেই সফল। এই বয়সেই নিজের মেধা দিয়ে ‘ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে’ নাম তুলল ছোট্ট এসকে কায়রাভ হোসেন। তার রেকর্ডটি কী? শিশুদের বইয়ে থাকা অক্ষর, পশু, পাখি, ফুল, ফল, সংখ্যা ইংরেজি কবিতা ১০টি, বাংলা কবিতা ৫টি, হিন্দি কবিতা ৫টি, আরবি অক্ষর, বাংলায় ১ থেকে ৪০ পর্যন্ত এবং ইংরেজিতে ১ থেকে ২০, রাজ্যের রাজধানীর নাম অনর্গল বলে যায় বছর আড়াইয়ের এসকে কায়রাভ হোসেন। এরপরেই পরিবারের মনে ইচ্ছে জাগে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম তোলার। কায়রাভের পরিবার সেই মতো ক্লিপ পাঠায় এবং সেই ক্লিপিং পাঠানোর দু’মাস পর আসে সুখবর। ৮ অক্টোবর সুসংবাদ জানায় কর্তৃপক্ষ। তার নাকি নাম উঠেছে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে। হুগলি জেলার আরামবাগ শহরের বাসিন্দা শেখ আতাউল হোসেন ও রাবিনার একমাত্র ছেলে কাইরাভ হোসেন। মাত্র আড়াই বছর বয়েসেই নাম উঠল ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে। দু’বছর বয়স থেকেই মা রাবিনার কাছে থেকে পাঠ শুরু কায়রাভের। এখন তার বয়স আড়াই। কিন্তু এর মধ্যেই বাংলা ইংরেজি ভাষা মিলিয়ে বেশ কিছু কবিতা তার মুখস্থ। শুধু তাই নয় বছরের চারটে ঋতু, দিন, মাসের নাম মুখস্থ। পাশাপাশি ছবি দেখে এক নিমেষেই বলে দিতে পারে শিশুদের বইয়ে থাকা পশু, পাখি, সব্জি, ফুল, ফল, বৈদুতিক সরঞ্জাম সহ বিভিন্ন জিনিসের নাম। এরপরেই পরিবারের মনে উৎসাহ জাগে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসের জন্য এবং সফল হন। এরপরেই ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসের শংসাপত্র-সহ মেডেল আসে কায়রাভের বাড়িতে। তা দেখেই খুশি পরিবার সহ এলাকার লোকজন। ছোট্ট কায়রাভের মা রাবিনা জানান, ছোট থেকেই বই পড়তে ভালোবাসে ছেলে। আমার ছেলের সমস্ত পড়াশোনা সংক্রান্ত ভিডিও করে পাঠিয়েছিলাম। দু’মাস পরে খুশির খবরটা ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসের কর্মকর্তারা আমাদের জানায়। আমাদের খুবই ভালো লাগছে। সবমিলিয়ে একরত্তি কায়রাভের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত স্থানীয় মানুষ।