হুগলি: খুব তাড়াতাড়ি হুগলির আরামবাগে হতে চলেছে সরকারি নার্সিং কলেজ। মঙ্গলবার আরামবাগের সাংসদ অপরূপা পোদ্দার থেকে শুরু করে প্রাক্তন বিধায়ক কৃষ্ণ চন্দ্র সাঁতরা, প্রাক্তন চেয়ারম্যান স্বপন নন্দী আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ্যের সঙ্গে জমি জট কাটাতে বৈঠক করেন। সরকারি ভাবে স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই জমি দেখার কাজ শুরু হয়েছে বলে জানা যায়।
আরামবাগে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পর নার্সিং কলেজ তৈরি হলে তা হবে আরামবাগের মানুষের কাছে বাড়তি পাওনা। কেন্দ্রীয় সরকার এই কলেজগুলো তৈরি জন্য টাকা দিলেও রাজ্য সরকারকে জমি সহ প্রয়োজনীয় অনান্য পরিকাঠামো গড়ে দিতে হয়। সেই পদক্ষেপ নিতে চলেছে প্রশাসন। যে সমস্ত মেডিক্যাল কলেজে নার্সিং পড়ার সুযোগ নেই, সেখানেই এই নতুন নার্সিং কলেজ খোলা হবে। এই কলেজ হলে হুগলি জেলা সহ তার আশেপাশের জেলা যেমন মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, বর্ধমান সহ বিভিন্ন জেলার নাসিং পড়া ছাত্রীরা উপকৃত হবেন। এই বিষয়ে আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডাঃ রমাপ্রসাদ রায় বলেন, ‘আরামবাগে একটা নার্সিং কলেজের অনুমোদন মিলেছে। সরকারিভাবে স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে জমি দেখার কাজ চলছে। অনেকগুলি জমি আমাদের হাতে আছে।’ অন্য দিকে নার্সিং কলেজ প্রসঙ্গে সাংসদ অপরূপা পোদ্দার জানান, মেডিক্যালে কলেজ হাসপাতালে প্রিন্সিপালের সঙ্গে নার্সিং কলেজে নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রফুল্লচন্দ্র সেনের নামে একটা মেডিক্যাল কলেজ হয়েছে। নার্সিং কলেজের জন্য জমি লাগবে আড়াই একরের মতো। ক্যাম্পাসের মধ্যেই জমি ছিল। কিন্তু যেহেতু কেন্দ্রীয় সরকার তার নিয়ম পরিবর্তন করছে। হাসপাতালের একটা আলাদা জায়গার জমি নিয়েই ভাবনা চলছে। সেটা ক্যাম্পাসের মধ্যে নেই, সেটা নিয়েও বিবেচনা করা হচ্ছে। চেয়ারম্যান ও কাউন্সিলারে সঙ্গে আলোচনা করা হবে।