অবাধে আরামবাগের দোকানে বিক্রি হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকার গাঁজা, প্রশাসন উদাসীন

কখনও প্রকাশ্য দিনের আলোয় আবার কখনও রাতের অন্ধকারে লক্ষ লক্ষ টাকার গাঁজা বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। অথচ প্রশাসনের হুঁশ নেই বলে অভিযোগ স্থানীয় মানুষের। রীতিমতো দোকান করে গাঁজা বিক্রি হচ্ছে। ঘটনাটি দেখা যাচ্ছে আরামবাগের আরান্ডী এক নম্বর অঞ্চলের সাতমাসা গোঁসাই পাড়ায়। অভিযোগ প্রত্যেক দিন কয়েক লক্ষ টাকার গাঁজা পাচার হয়ে চলে যাচ্ছে। পাশাপাশি এলাকার যুবক থেকে শুরু করে ছোট ছোট স্কুল পড়ুয়ারাও নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছে। বিকাল হলেই নেশাগ্রস্ত যুবকরা বাইকে করে গাঁজা কিনতে আরান্ডী সাতমাসার গোঁসাই পাড়ার ঢোকার মুখে কাটারি খালের পাড়ে দোকানে হাজির হচ্ছে। গাঁজা কিনে যেমন নিয়ে যাচ্ছে তেমনি প্রাকাশ্য রাস্তার ধারে বসে গাঁজা টান দিচ্ছে বলে অভিযোগ। স্থানীয় মানুষের দাবি, এই গাঁজার দোকান থেকে গ্রামের স্কুল পড়ুয়া ছাত্ররাও গাঁজা কিনে নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছে। তাদের আরও অভিযোগ, বার বার নিষেধ করা সত্ত্বেও গাঁজা বিক্রি বন্ধ হয়নি। উল্টে মারধর থেকে শুরু করে দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই গ্রামের এক যুবক তথা দোকানের মালিক নাকি এই গাঁজা ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। তাকে বহু বার নিষেধ করা হলেও কাটাই খালের ধারে নির্জন স্থানে দোকান করে গাঁজা বিক্রি করছে বলে অভিযোগ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মুন্ডেশ্বরী নদীর শাখা নদীর কাটারি খালের পাড়ে এই ব্যবসা রমরমিয়ে চলছে। সামনেই ধামসা পিসি সেন হাইস্কুল। তার পাশ দিয়ে চলে গেছে রাস্তা। খানাকুলের দিকে পাঁচ মিনিট যাওয়ার পরেই ঢালাই রাস্তা ধরে গিয়ে কাটারি খালের কাঠের সেতু পেরিয়ে গেলেই চোখে পড়বে টিন দিয়ে ঘেরা একটি দোকান। আর ওই দোকান থেকেই আরামবাগ মহকুমা জুড়ে বিস্তৃত হয়েছে গাঁজা চক্র। বিশেষ সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই গাঁজা কখনও নদীপথে আবার কখনও চার চাকা গাড়িতে করে ঘাটাল থেকে আরামবাগে গাঁজা ঢোকে। তারপর আরামবাগ মহকুমার নির্দিষ্ট কিছু পয়েন্টে গাঁজা চলে যায়। তারপর সেখান থেকে গাঁজা গোটা আরামবাগ মহকুমা জুড়ে কাটালি খালের পাড়ে গড়ে ওঠা দোকানগুলি থেকে ছড়িয়ে পড়ছে বলে অভিযোগ। এমনকী কিছু ব্যক্তি বিশেষ কায়দা গাঁজা ফেরি করছে। আরামবাগ বাসস্ট্যান্ড চত্বরে এক ইশারাতেই গাঁজা ফেরিওয়ালা এসে যাচ্ছে এবং গাঁজা বিক্রি করে চলে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষ জানলেও প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না। কেননা পুলিশ প্রশাসন কড়াপদক্ষেপ নিচ্ছে না। যদিও এই বিষয়ে আরামবাগ এসডিপিও অভিষেক মণ্ডলের সঙ্গে যোগাযোগ করে হলে তিনি জানান, এই বিষয়ে কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। তবে গাঁজা বিক্রি বন্ধ করতে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সবমিলিয়ে এখন দেখার পুলিশ প্রশাসন সমাজকে নেশা মুক্ত করতে কি পদক্ষেপ নেয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eighteen − two =