আরামবাগে দ্বারকেশ্বর নদীর চর থেকে কলার ভেলায় করে বালি চুরি, উদাসীন প্রশাসন

প্রকাশ্যে দিবালোকে বালি পাচার চলছে নদী থেকে। প্রশাসনের উদাসীনতার সুযোগ নিয়ে হুগলির আরামবাগ পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাজিডাঙার দ্বারকেশ্বর নদী থেকে অবৈধভাবে কলার ভেলায় করে বালি তুলে পাচার চলছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। নদীতে রীতিমতো কোদাল, বালতি, বালি কাটার মেশিন দিয়ে বালি তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। নদীর চরের প্রায় এক কিলোমিটারের মতো বালি পাচারকারীরা দিব্যি বালি পাচারের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে তাদের অভিযোগ। এই নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। দ্বারকেশ্বর নদী থেকে অবৈধভাবে বালি পাচার যে হচ্ছে সেখানে প্রশাসনেরও কিছুটা ঢিলেঢালা মনোভাব রয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। বালি পাচারকারীরা এই সুযোগটাকেই কাজে লাগাচ্ছে বার বার। সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে দ্বারকেশ্বর নদী থেকে বালি তোলা হচ্ছে অথচ প্রশাসন নিশ্চুপ। কিন্তু কেন? কি রহস্য লুকিয়ে আছে? নানা প্রশ্ন উঠছে আরামবাগের আনাচে কানাচে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সাজিডাঙার এই নদীর চর থেকে প্রতিদিন প্রায় ৪০০-৫০০ বেশি বালি বস্তায় ভরে আরামবাগের বিভিন্ন এলাকায় পাচার করা হচ্ছে। এমনকী নদীর পাড় কেটেও চলছে অবৈধভাবে বালি পাচার। এইভাবে যদি বালি অবৈধভাবে তোলা হয় তাহলে বর্ষার সময় নদীর পাড় ভেঙে যাওয়াও আশঙ্কা করছে স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয়রা বাধা দিতে গেলেই বালি পাচারকারীরা ভয় দেখিয়ে তাড়িয়ে দেয় বলেও জানান স্থানীয়রা। এমনকী অবৈধভাবে বালি তুলে কলা গাছ দিয়ে তৈরি ভেলার সাহায্যে নদীর এপার থেকে ওপারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এই বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা কাজী রেজাউল হোসেন জানান, এখানে দীর্ঘদিন ধরে বালি তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বালি তুলে বস্তায় ভরে নদীর কালিপুরের দিকে থেকে ভেলায় করে আরামবাগের দিকে বস্তায় ভরে পাচার করা হচ্ছে। মানা করলেও শোনে না। প্রায় তিন চার মাস ধরে প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ জন এখানে এসে বালি তুলে নিয়ে যায়। এ প্রসঙ্গে আরামবাগ এসডিএলআরও পরিচয় ভট্টাচার্য জানান, বিষয়টা জানলাম আমার অবশ্যই খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবে। এখন দেখার প্রশাসন বালি চুরি বন্ধ করতে কি ব্যবস্থা নেয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seventeen − fifteen =