বোর্ড লাগানো হলেও শ্রেণিকক্ষ তৈরি না হওয়ায় ক্ষোভ আরামবাগের সাপরোজলে

নিজস্ব প্রতিবেদন, হুগলিn পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসছে ততই উন্নয়নের ধ্বজা তুলে ধরার চেষ্টা করছে শাসক দল তৃণমূল। কিন্তু শিক্ষা ক্ষেত্রে পরিকাঠামো ভগ্নদশা আবারও প্রকাশ্যে এল হুগলি জেলার আরামবাগে। শিক্ষার মান উন্নয়নে অ্যাডিশনাল শ্রেণিকক্ষ নির্মাণের জন্য আরামবাগেরর সাপরোজল এমসি প্রাইমারি স্কুলে বোর্ড লাগানো হয়। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ১০,৮৭,০০০ টাকা। কিন্তু এখনও পর্যন্ত শ্রেণি কক্ষ তৈরি হয়নি। আর এই নিয়েই গ্রামের মানুষ থেকে শুরু করে অভিভাবকেরা অসন্তোষ প্রকাশ করে। এমনকী, বিরোধীরা দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছে। তাদের দাবি, ২০১৯-২০ বর্ষে শ্রেণিকক্ষ তৈরি করার জন্য বোর্ড লাগানো হয়। অথচ ২০২৩ সালেও একখানা ইট স্কুলে গাঁথা হল না। তাহলে প্রশাসন কি কাজ করছে। শ্রেণি কক্ষ নির্মাণ করা হবে বলে সংখ্যালঘু এলাকায় উন্নয়নের বড়াই করতে এবং ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ভোটকে সামনে রেখেই কি এই বোর্ড লাগানো হয়। প্রশ্ন তোলেন বিরোধী নেতৃত্ব। তবে দুর্নীতি কতটা আছে সেই বিষয়টি অবশ্য তদন্ত সাপেক্ষ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞমহল। তবে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আইএমপি তহবিলে টাকা আসেনি বলে নাকি শ্রেণিকক্ষ তৈরি হয়নি। এই বিষয়ে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রত্যুষ ফরিকালকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, অ্যাডিশনাল ক্লাস রুমটা খুব প্রয়োজন ছিল বলে আমরা আবেদন করেছিলাম। যতটুকু জেনেছি টাকা অ্যালটমেন্ট হয়েছিল এমনকী বোর্ডও দেওয়া হয়েছিল কিন্তু ক্লাস রুমটা হয়নি। যিনি কাজের বরাত পেয়েছিলেন তাকে ফোন করে জেনেছিলাম তহবিলে টাকা না থাকায় কাজ হচ্ছে না। উনি আমাকে বোর্ডটা তুলে ফেলে দিতে বলেছিলেন। আমি বোর্ড তুলে ফেলে দিইনি। কারণ স্কুল কর্তৃপক্ষ বোর্ড লাগায়নি। যারা বা যে বোর্ড লাগিয়েছে তাঁর উচিত বোর্ড তুলে দেওয়ার। বারবার প্রশাসনকে বলা সত্ত্বেও শ্রেণিকক্ষ তৈরি হয়নি। অপরদিকে আরামবাগ পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ দীপক মাঝি বলেন, টেন্ডারের কিছু সমস্যা হয়েছিল। তাই কাজ আটকে যায়। সমস্যা প্রায় মিটে গেছে। আশা করি টাকা বরাদ্দ হলেই কাজ শুরু হবে। তবে ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আরামবাগ ব্লকে অ্যাডিশনাল ক্লাসরুম তৈরি করার জন্য প্রায় ৩ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছিল। কিন্তু সঠিক সময়ে কাজ করতে না পারায় টাকা ফেরত যায়। তাই বহু স্কুলে শ্রেণিকক্ষ নির্মাণের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। সবমিলিয়ে পঠন পাঠনের মান উন্নয়ন ও পরিকাঠামোর উন্নয়নে অ্যাডিশনাল শ্রেণি কক্ষ তৈরি কাজ কবে শুরু হবে সেই দিকে তাকিয়ে আরামবাগবাসী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 × 4 =