প্রাথমিকে টেটের আবেদন পত্র জমা নেওয়ার কাজ শুরু করে দিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। আজ বিকেল চারটে থেকে অনলাইনে আবেদন পত্র নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।আগামী ৩ নভেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত আবেদনপত্র জমা দেওয়া যাবে।
www.wbbpe.org -পোর্টাল থেকে অনলাইনে আবেদন করা যাবে বলে জানিয়েছে পর্ষদ। শুক্রবার জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে পর্ষদ জানিয়েছে,
প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে ১১ হাজার শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য আবেদন করা যাবে।
১১ ডিসেম্বর প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা টেট নেওয়া হবে।
চলতি সপ্তাহেই পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল এক সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছিলেন, এখন থেকে বছরে দুবার করে টেট নেওয়া হবে।
এর আগে, নিয়োগের ক্ষেত্রে যোগ্যতা শিথিল করে ৩ বার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল পর্ষদ।
২৯শে সেপ্টেম্বর জারি করা প্রথম বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, প্রাথমিকে টেট পরীক্ষার্থীদের মধ্যে এলিমেন্টারি এডুকেশনে যাঁরা ২ বছরের ডিপ্লোমা এবং ৪ বছরের ব্যাচেলার ডিগ্রি পেয়েছেন, তাঁরা আবেদনের যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।
এছাড়া আরসিআই স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে যাঁরা দু’বছরের ডিএড কোর্স বা এনসিটিই স্বীকৃত কোনও প্রতিষ্ঠানে দু-বছরের ডিএলএড কোর্সের চূড়ান্ত দফার পরীক্ষা দিয়েছেন, তাঁরাও প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে শিক্ষক নিয়োগের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এরপর বুধবার জারি করা নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়, এলিমেন্টারি এডুকেশনে ২ বছরের ডিপ্লোমা কোর্সে যাঁরা ভর্তি হয়েছেন, তাঁরাও পরীক্ষায় বসতে পারবেন। ৪ বছরের এলিমেন্টারি এডুকেশনে যাঁরা পড়াশোনা করছেন, তাঁরাও এই নিয়োগ পরীক্ষায় বসার যোগ্য।
বৃহস্পতিবার সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তিতে সংরক্ষণের ক্ষেত্রেও নিয়মের রদবদল করে তপশিলি জাতি, উপজাতি এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির চাকরিপ্রার্থীদের বিশেষ ছাড় দেওয়া হয়।
দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা বা স্নাতক স্তরে ৫ শতাংশ কম নম্বর পেলেও, এই শ্রেণিভুক্ত প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। সেই অনুযায়ী, সাধারণ প্রার্থীদের যেখানে ৫০ শতাংশ নম্বর থাকা বাধ্যতামূলক, সেখানে সংরক্ষিতরা ৪৫ শতাংশ নম্বর পেলেই আবেদন জানাতে পারবেন। টেটের নিয়ম এবার অনেক শিথিল হওয়ায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যাও অনেক বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।