ক্ষমা চেয়ে ভিডিয়ো পোস্ট করতে বাধ্য হলেন। তাতেও লিওনেল মেসিকে ঘিরে ক্ষোভ কমছে না। ইন্টার মায়ামির হংকং একাদশের বিরুদ্ধে খেলার কথা ছিল বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলারের। কিন্তু চোটের কারণে মাঠে নামতে পারেননি। আয়োজকরা কিন্তু মেসি খেলবেন, এই কারণেই টিকিটের দাম চড়িয়ে রেখেছিলেন। সমর্থকরাও সেই টিকিট কিনে মাঠে এসেছিলেন। কিন্তু এসে দেখেন, মেসি মাঠে নেই, বসে রয়েছেন ডাগআউটে। তিনি নামবেন, এমন সম্ভাবনাও নেই। যার পর থেকেই সুপারস্টার ফুটবলারকে নিয়ে নানা কথা উঠতে শুরু করেছে। কেউ কেউ আবার এর সঙ্গে রাজনীতির রংও মিশিয়েছেন। এর আগে মেসি কিন্তু ৪ ফেব্রুয়ারি হংকং ম্যাচে কেন খেলতে পারেননি, তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তাতে ঝড় থামেনি দেখে ভিডিয়ো পোস্ট করতে বাধ্য হলেন।
মেসি ওই ভিডিয়োতে সমর্থকদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘হংকং ম্যাচের পর আমি অনেক কিছু শুনছি। তাই এই ভিডিয়ো করছি। সত্যিটা জানাতে চাই সবাইকে। আমি নাকি রাজনৈতিক কারণে খেলেনি হংকং একাদশের বিরুদ্ধে। তা একেবারেই সত্যি নয়। জাপান কিংবা চিনে যেতে চাইনি, এমনও বলা হচ্ছে। সৌদি আরবেও কিন্তু প্রথম ম্যাচে খেলিনি। দ্বিতীয় ম্যাচে কিছুটা খেলেছিলাম। আসলে চেষ্টা করেছিলাম, যাতে মাঠে থাকতে পারি। এই চেষ্টা আমার সব সময় থাকে। কিন্তু চোটের কারণে সেটা সম্ভব হয়নি। খেলাটাই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। সেটাই থাকবে।’
চরম বিতর্কের পর আয়োজকরা ব্যাপক সমস্যায় পড়ে গিয়েছে। হংকং সরকার ওই ম্যাচের জন্য অনুদান দিয়েছিল। কিন্তু মেসি না খেলায় গণবিক্ষোভের কারণে স্পনসররা সরে গিয়েছে। সরকারও চটেছে। যাঁরা মাঠে খেলা দেখতে এসেছিলেন, তাঁদের অর্ধেক অর্থ ফেরত দেওয়া হচ্ছে। কার্যকরী কাউন্সিলের আহ্বায়ক রেজিনা ইপ বলেছেন, ‘হংকংয়ের লোকজন মেসিকে আর পছন্দ করে না। ইন্টার মায়ামির মতো ক্লাবকেও। এটা খুব হিসেব কষে ঘটানো একটা জিনিস।’